এসইও কি?এসইও কত প্রকার ও কি কি?  কিভাবে এসইও করতে হয়?


এসইও কি?এসইও কত প্রকার ও কি কি?  কিভাবে এসইও করতে হয়? আপনি যদি এইসব প্রশ্নের উত্তরগুলো খুজতে থাকেন তাহলে বলবো আপনি সঠিক জায়গা চলে এসেছেন।এই পোস্টে এসইও নিয়ে A-Z আলোচনা করা হবে। মনোযোগ সহকারে পোস্ট টি পড়ুন আশা করি এসইও নিয়ে সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।



এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ বা কেন এসইও শিখবেন?

আপনারা হয়তো জানেন,বর্তমানে এসইও এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ  আপনি আশেপাশে থাকা যেকোন  প্রতিষ্ঠানের দিকে লক্ষ করলেই দেখবেন তাদের ব্রান্ডের বিজ্ঞাপন প্রচার বা তাদের সার্ভিস, ই-কমার্স, পন্যের রিভিও ইত্যাদি মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য কোন না কোন ওয়েবসাইট রয়েছে।

আর এই ওয়েবসাইট গুলোকে সাবার সামনে নিয়ে আসতে এসইওর ভূমিকা অপরিসীম। তাই এসইও এক্সপার্ট এর চাহিদা এখন আকাশচুম্বি।


উদাহরণঃ ধরুন আপনার একটি রেস্টুরেন্টে রয়েছে, আপনি যাচ্ছেন সবাইকে আপনার রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে জানাতে,  অন্যান্য রেস্টুরেন্টের মালিকরাও  তাই চাইবে।সেক্ষেত্রে একটি প্রতিযোগিতার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়,এ প্রতিযোগিতায় অন্যদের থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখতে এসইও হতে পারে অন্যতম উপায়।


আরো পড়ুনঃ 

এসইও গুরুত্বপূর্ণ হবার কারন গুলো নিচে তুলে ধরা হলোঃ

  • এর মাধ্যমে তুলনামূলক কম বিনিয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালানো যাচ্ছে।
  • সম্ভাব্য কাস্টমার বা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা সম্ভব হয়।
  • বিনা খরচে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা যায়।
এসইও গুরুত্বপূর্ণ হবার কারন


শুধুমাত্র অনলাইন ব্যাবসা বা সার্ভিসে এর মধ্যো সীমাবদ্ধ নয়,যেকোন প্রতিষ্ঠান এর প্রচারণা চালানো যেতে পারে এসইও ( Search Engine Optimization)  এর মাধ্যমে।



এসইও(Search Engine Optimization)  কি? 

কোন প্রকার বিজ্ঞাপন ব্যাবহার না করে সার্চ ইঞ্জিনে কোন ওয়েবসাইটের ফলাফল,এপ্লিকেশন বা কোন কন্টেন্ট এর র‍্যাংকিং ভালো করার প্রক্রিয়াই এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন।



আমরা সার্চ ইঞ্জিনে যখন সার্চ করি অধিকাংশ সময় ফলাফলের তালিকায়  উপরে থাকা কন্টেন্টগুলোই বেশি দেখা হয়ে থাকে।তবে এর মধ্যো কিছু কিছু হতে পারে বিজ্ঞাপন আর বাকিগুলো সাধারণ লিংক আর এই সাধারণ লিংক গুলোকে সবার উপরে আনাই এসইওর কাজ।

আর যে এই এসইওর কাজটি করেন তাকে বলা হয় সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজার।

এসইও বলতে অনেকে মনে করেন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইটের বিজ্ঞান দেওয়া।আসলে ব্যাপারটা এমন না। এসইও বলতে আপনার কন্টেন্ট এর র‍্যাংকিং এমন ভাবে বাড়ানো যাতে  সঠিক ইউজাররা আপনার কন্টেন্ট খুজে পেয়ে আপনার সাইটে চলে আসে।

এসইও কি?এসইও কত প্রকার ও কি কি?  কিভাবে এসইও করতে হয়?



অন্যদিকে  সার্চ ইঞ্জিনে সরাসরি বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর পদ্ধতিকে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং( Search Engine Marketing) বা এসইএম ( SEM) বলা হয়।এই সমস্ত লিংক গুলতে "বিজ্ঞাপন বা Ads" ট্যাগ লাগানো থাকে তবে র‍্যাংকিং এর সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।

মনে রাখবেন, এসইওর মাধ্যমে রাতারাতি সার্চ রেজাল্টে  আপনার কনটেন্ট কে ফলাফলের উপরে নিয়া আশা সম্ভব নয়,এর জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেদি পরিকল্পনা ও কৌশল । আপনার র্টাগেটেড অডিয়েন্সকে বা কাষ্টমারদের প্রয়োজন অনুযায়ী সে পরিকল্পনার পরিবর্তন নিয়ে আসবেন আপনি।




এসইও ( SEO) কিভাবে করতে হয়?

প্রায় সব এসইও এক্সপার্টরাই মূলত নিচের দুইটি পদ্ধতিতে এসইও করে থাকেনঃ
  • পেইড এসইও
  • অর্গানিক এসইও



কোন ওয়েবসাইট কে সার্চ র‍্যাংকিং এ টপ পজিশনে আনার জন্য এই দুই ধরনের এসইও করা হয়ে থাকে। কারন দুটি পদ্ধতিতে এসইও করলে চাহিদা অনুযায়ী ভিজিটর নিয়ে আশা সম্ভব হয়,চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পেইড এসইও কি?

পেইড মানে তো বুঝতেই পারছেন এখানে টাকার বিনিময়ে এসইও করা হয়। পেইড এসইও করতে হলে আপনাকে বিপুল পরিমান টাকা গুন  হবে যেটা অনেক ব্যয়বহুল। 

তারআগে জেনে নিন পেইড এসইও আসলে কি?

ধরে নিন আপনি গুগলের মাধ্যমে পেইড এসইও করাতে চাচ্ছেন এখন আপনাকে প্রথমেই গুগলকে আপনার টার্গেটেড Keyword দিতে হবে।অর্থ্যাৎ আপনি কোন Keyword কে  টার্গেট করে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে চান  সেটি গুগলকে জানাতে হব।

এরপর গুগল বলে দিবে আপনার Targeted Keyword এর জন্য কত পে করতে হবে।

এখন যখনি আপনি পেমেন্ট Confirm করবেন সাথে সাথে ক্যাম্পেইন Start হয়ে যাবে।

এরপর থেকে যখন গুগলে কেও আপনার সেই Keyword নিয়ে Search করবে গুগল আপনার ওয়েবসাইটিকেই সবার আগে দেখাবে।

এটিই হলো পেইড এসইও।



অর্গানিক এসইও কি?

যখন আপনি টাকা ছাড়াই বিভিন্ন টেকনিক খাটিয়ে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর নিয়ে আসবেন তখন সেটি হবে অর্গানিক  ( Organic) এসইও।



এখন আমরা সেই টেকনিক গুলো সম্পর্কে জানবো।

শুধু মাত্র এই ৩টি টেকনিক খাটিয়ে বিনা খরচে ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন। 
যেগুলো হলোঃ

১.অন-পেইজ এসইও,
২.অফ-পেইজ এসইও,
৩.ট্যাকনিক্যাল এসইও।



উপরক্ত ৩ টি বিষয় হলো এসইওর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 


অন-পেইজ  এসইও (On Page SEO) বা অন-সাইট এসইও কি?

একটি ওয়েবসাইটের কনটেন্ট কে নির্দিষ্ট  উপায়ে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনার ইউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের সামনে তুলে ধরাই হলো অন-পেইজ এসইও।

অন-পেইজ এসইওর কয়েকটি মূল বিষয় হলোঃ

  • হেডিং, 
  • মূল কন্টেন্ট,
  • কন্টেন্টে ব্যাবহারকৃত লিংক,
  • কন্টেন্টে ব্যাবহারকৃত অডিও,ভিডিও ও ছবি,
  • মেটা ট্যাগ বা মেটা ডিস্ক্রিপশন।
এসইও কি?এসইও কত প্রকার ও কি কি?  কিভাবে এসইও করতে হয়?


অন-পেইজ এসইও নিয়ে বিস্তারিত নিচে পাবেন। 




অফ-পেইজ এসইও (Off Page SEO) বা অফ-সাইট এসইও কি?

ইউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেতে অন্য ওয়েবসাইট থেকে লিংক ( ভিজিটর) নিয়ে আশা বা সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হচ্ছে মূলত অফ-পেইজ এসইওর কাজ।

অবশ্য এতে বেশি জোর দেওয়া হয় লিংক বিল্ডিং এর উপর,যাকে ব্যাকলিংক ও বলা হয়ে থাকে।

এসইও কি?এসইও কত প্রকার ও কি কি?  কিভাবে এসইও করতে হয়?


কিভাবে অন্য ওয়েবসাইট থেকে লিংক   নিতে হয় সেটি নিচে দেখুন।




টেকনিক্যাল এসইও কি?

ইউজার ও সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গ্রহনযোগ্যতা বাড়াতে কিছু টেবহার করাই হচ্ছে টেকনিক্যাল এসইও। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সাইটকে অপটিমাইজ করে ইউজার ফ্রেন্ডলি গড়ে তোলা এবং  সার্চ ইঞ্জিনের যেন সহজে খুজে পায় তার ব্যাবস্থা করা।


টেকনিক্যাল এসইওর মধ্যো রয়েছেঃ
  • ওয়েবসাইটের স্পিড,
  • ওয়েবসাইটের কাঠামো বা স্ট্রাকচার,
  • মোবাইল ডিভাইসে ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স,
  • ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা,
  • সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটকে ক্রালিং(Crawling)  করার সুবিধা যা Crawlability নামে পরিচিত,
  • সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট বিশ্লেষণ করে  ফলাফলে অন্তর্ভুক্ত করা যা Indexiblity নামে পরিচিত।
এসইও কি?এসইও কত প্রকার ও কি কি?  কিভাবে এসইও করতে হয়?


সঠিক নিয়ম মেনে এসইও হচ্ছে কিনা এর উপর ভিত্তি করে এসইও কে আবার তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকেঃ
  1. হোয়াইট হ্যাট এসইও,
  2. ব্লাক হ্যাট এসইও,
  3. গ্রে হ্যাট এসইও।
হোয়াইট হ্যাট এসইও কি?

 সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইন অনুযায়ী  ইউজার  সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজড এর মাধ্যমে যে এসইও করা হয় তাকে হোয়াইট হ্যাট এসইও বলে।

মানসম্মত কন্টেন্ট ও অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে ব্যাকলিংক এর মাধ্যামে আপনি হোয়াইট হ্যাট এসইও করতে পারেন।

এসইওর যত টেকনিক আছে তারমধ্যো Safe & Legal হচ্ছে হোয়াইট হ্যাট এসইও।
আপনি যদি হোয়াইট হ্যাট এসইওর সবগুল টেকনিক বুঝতে পারেন তাহলে আপনি নিজেকে একজন এসইও এক্সপার্ট হিসাবে দাবি করতে পারেন।

ব্লাক হ্যাট এসইও কি?

সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইনের বিরুদ্ধে যায় এমন পদ্ধতি ব্যবহার  করাই ব্লাক হ্যাট এসইও।
এ পদ্ধতিতে সার্চ ইঞ্জিনকে বোকা বানানো হয়।
আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিনের এলগারিদম বুঝতে পারেন তাহলে আপনি সহজেই ব্লাক হ্যাট এসইও করতে পারবেন।যেমনঃ সফট্যাওয়ারের মাধ্যমে কন্টেন্ট বানানো, অটো ব্যাকলিং জেনারেট করা।

ব্লাক হ্যাট এসইও তে সার্চ ইঞ্জিনের উপর একপ্রকার চাপ দেওয়া হয় যেন তারা সাইটে রেংকিং প্রদান করে। 

 কম সময়ে ভালো র‍্যাংক পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদি কাজের জন্য এ পদ্ধতি খুবি ক্ষতিকর। 


তাহলে আপনি বুঝতেই পারছেন,যতদিন এসইও সেক্টরে কাজ করবেন কখনো সার্চ ইঞ্জিনকে বোকা বানিয়ে এই পদ্ধতি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না,যদিও সাময়িক ভাবে কিছু ভিজিটর পাবেন 
কিন্তু একসময় নিয়েই বোকা হয়ে যাবেন।

সার্চ ইঞ্জিনের তাদের এলগরিদম থেকে পেনাল্টি দিয়ে বের করে দিবে তখন র‍্যাংকিং তো দূরের কথা হ্যারিকেন জালিয়েও আপনার সাইটকে খুজে পাবেন না।

তাই ব্লাক হ্যাট এসইও এড়িয়ে চলুন।



গ্রে হ্যাট এসইও কি?

এসইওর এমন কিছু টেকনিক রয়েছে যেগুলো গাইডলাইন ভজ্ঞ করে না আবার পুরোপুরি গাইডলানের সাথে মানেও না। সহজ কথায় এসইও সেক্টরে ভালো এবং খারাপের মাঝামাঝি যে টেকনিক রয়েছে সেটিই হচ্ছে গ্রে হ্যাট এসইও।

যেমনঃ অন্য ওয়েবসাইট থেকে লিংক কেনা।

গ্রে হ্যাট এসইওর মাধ্যমে হয়তো আপনি সাময়িক লাভবান হতে পারবেন কিন্তু এতে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে আসলেও লাভবান হতে চান তাহলে আপনার উচিত সবসময় সার্চ ইঞ্জিনের গাইডলাইন মেনে চলা।

তবে একটা কথা আছে "চুরি বিদ্যা মহা বিদ্যা,যদি না পড়ে ধরা"  সার্চ ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে ঠিক একই রকম

সার্চ ইঞ্জিনে যদি আপনার টেকনিক বুঝতে না পারে তাহলে বেশ আর নয়তো শেষ। 


অন-পেইজ এসইও কিভাবে করবেন?

ওয়েবসাইটের ভেতর থেকে যে এসইও করা হয় সেটিই হচ্ছে অন-পেইজ এসইও। অন-পেইজ এসইও কি সেটা তো জানলেন এখন প্রশ্ন হচ্ছে এর জন্য আপনাকে কি কি কাজ করতে হবে।তো চলুন জেনে নেওয়া যাকঃ

• Title optimize 
• Meta tag 
• Optimise Description 
• SEO Friendly Content 
• Keyword research  
• Keyword placement 
• LSI keywords  
• Content Longer  
• Tag 
• Category  
• Menu placement  
• Https  
• SSL Certificate  
• Robots . txt

উপরের সবগুলো বিষয় হচ্ছে অন-পেই এসইওর অন্তর্ভুক্ত। আপনাকে অবশ্যই উপরের বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।

মনে রাখবেন সার্চ ইঞ্জিন কে আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্টের টপিক গুলো বুঝিয়ে দিতে হবে। এখন কথা হচ্ছে কোন ক্রলার যখন আপনার ওয়েবসাইটে আসবে তখন কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ইনডেক্স করবে?

সহজ কথায় ক্রলার প্রথমেই দেখবো কন্টেন্ট টাইটেল,মেটা ট্যাগ & মেটা ডিস্ক্রিপশন। এর পর দেখে আপনি কোন  Keyword এর উপর টপিক লিখেছেন,কন্টেন্ট টিতে আপনার মূল Keyword টি ছিল কিনা,কন্টেন্ট কতটুকু ইউজার/ মোবাইল ফ্রেন্ডলি  এসব বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ক্রালার আপনার কন্টেন্টকে  Index করবে এবং আপনার কন্টেন্ট তাদের ডাটাবেইযে নিয়ে নিবে।


যখন আপনি এসইওর প্রাথমিক পর্যায়ে থাকবেন তখন অন-পেইজ এসইওকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন।

অন পেইজ এসইও



১.ইউজাররা  সার্চ ইঞ্জিনে কোন ধরনের প্রশ্ন খোঁযে সে ব্যাপারে জানুন।
শুধু অনুমানের ভিত্তিতে কন্টেন্ট বানালে সেগুলো আপনার ইউজারের কাজে নাও আসতে পারে অন্যদিকে তাদের জিজ্ঞাসাকৃত তথ্যর ভিত্তিতে কন্টেন্ট বানে তাতে ভালো ফলাফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই Keyword Research করুন।

.উপযুক্ত হেডিং, সাব হেডিং ব্যাবহার করুনঃ
আপনার কন্টেন্ট এর মূল বিষয় বুঝানোর জন্য উপযুক্ত শিরোনাম নিবাচন করুন তবে সেটা ৭০ ক্যারেক্টর এর বেশি না কারন তাহলে সার্চ ফলাফলের কিছু অংশ বাদ পড়ে যাবে।

Heading & Sub heading

হেডিং, সাবহেডিং এর মাধ্যমে ইউজার কে আপনার কন্টেন্ট  সম্পর্কে পরিচয় করিয়ে দিন।


৩.প্রসজ্ঞিক মাল্টিমিডিয়া যোগ করুনঃ
ওয়েবসাইটের কন্টেন্টে শুধু লেখা লেখি থাকলে পাঠকদের একঘেয়েমি লাগতে পারে তাই প্রয়োজন অনুযায়ী ছবি,অডিও,ভিডিও যোগ করতে পারেন।

Multimedia



তবে তার পরিমান যেন বেশি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন।

.প্রয়োনীয় লিংক ব্যাবহার করুনঃ
কন্টেন্টে নিজের ওয়েবসাইটের অন্য পেজের লিংক রাখার পাশাপাশি Similar ওয়েবসাইটের কিছু লিংক রাখুন।

Link

 তবে অপ্রয়োজনীয় লিংক এসইওতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

৫.টাইটেল ট্যাগ & মেটা ডেসক্রিপশন 
প্রতিটি পেজেত একটি শিরোনাম থাকে, আপনি যেভাবে লিখবে  সার্চ ইঞ্জিন ঠিক সেই ভাবেই ফলাফলে দেখাবে। যাকে বলে মেটা ট্যাগ বা টাইটেল ট্যাগ।

কোডিং এ যাকে লেখা হয় এভাবেঃ

Title

 আর সার্চ ফলাফলের মূল শিরোনামের পাশাপাশি একটা সারাংশ দেখানো হয়ে থাকে যাবে মেটা ডেসক্রিপশন বলে।

কোডিং এ যাকে লেখা হয় এভাবেঃ

Meta description

অধিকাংশ কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অটোমেটিক ভাবে মেটা ট্যাগ  ও মেটা ডেসক্রিপশন তৈরী করে নেয় তাই এই বিষয় টি নিয়ে বেশি দুচিন্তায় থাকতে হয়না।

Meta description

 ৬.ওয়েবপেজগুলোর বিন্যাসঃ

রুন আপনার সাইটে মোবাইল,ল্যাপটপ ও কম্পিউটার নিয়ে কন্টেন্ট লিখেন এখন ইউজার সাথে সহজেই খুজে পায় সে জন্য প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় কে ক্যাটাগড়িতে সাজিয়ে রাখুন।

৭.ইউআরএল গঠনঃ
নিচের  URL দুটি লক্ষ করুন-
কোন ইউআরএল টি আপনার কাছে সহজবদ্ধ মনে হয়েছে? নিশ্চয়ই প্রথমটি। এভাবে ইউআরল সহজবদ্ধ রাখুন।

৮.ইমেজ অপটিমাইজেশনঃ
 ওয়েবপেজকে সুন্দর করে তুলতে ইমেজের কোন বিকল্প নেই কিন্ত বড় সাইজের ইমেজ ওয়েবসাইটের লডিং স্পিডএকটিকে বাড়িয়ে দেয়।
তাই ইমেজ অপটিমাইজেশন জরুরি,ছোট সাইজের কিন্তু ভালো মানের ইমেজ ব্যাবহার করুন।

দরকার হলে ইমেজকে TinyJPG বা এই ধরনের অনলাইন টুলস ব্যাবহার করে কমপ্রেসড করে নিন।

Image optimization

ইমেজের সাথে অলটারনেটিভ  টেক্স যুক্ত করুন।
অনেক সময় কম লডিং স্পিডের কারনে ইমেজ দেখা যায়না তখন ওই ইমেজের অল্টারনেটিভ টেক্স থাকলে বুঝা যায় ইমেজে কি ছিল বা কোন ধরনের ইমেজ ছিল।

অন-পেইজ এসইও তে যা যা করবেন নাঃ
  • Keyword দিয়ে কন্টেন্ট ভরিয়ে ফেলার কোন দরকার নেই,
  • স্বয়ক্রিয় কন্টেন্ট পরিহার করুন,
  • নকল কন্টেন্ট হতে বিরত থাকুন।
Duplicate Content

বিপুল সংখ্যক লিংক স্ক্যানিং  এর মাধ্যমে Search engine  খুব সহজেই নকল কন্টেন্ট শনাক্ত করতে পারে।
এমনকি কোন ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট সামান্য ঘুরিয়ে পেচিয়ে ব্যাবহার হচ্ছে সেটিও  ধরতে পারে।
এত জন্য পেনাল্টি না খেলেও র‍্যাংকিং এ অনেকটাই পিছিয়ে যাবেন।


অফ-পেইজ এসইও কিভাবে করবেন?
অফ পেইজ এসইও হচ্ছে মূলত নিজের ওয়েবসাইট   এর বাহিরে যে এসইও করা হয়। অন্যান্য সাইটের সাথে লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যমে নিজের সাইটের র‍্যাংক এবং ভিজিটর নিয়ে আশাই এত মূল লক্ষ।


Link building

ব্যাকলিংক বা লিংক বিল্ডিং কি?

অন্য ওয়েবসাইট থেকে নিজের ওয়েবসাইটে ব্যাকলিংক বা ইনবাউন্ড লিংক নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকেই লিংক বিল্ডিং বলা হয়।


সময়ের সাথে প্রাসঙ্গিক আর মানসম্মত ইনবাউন্ড লিংকের সংখ্যা বাড়িয়ে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ভালাে লিংক প্রাফাইল বা লিংক পাের্টফোলিও তৈরি করা সম্ভব।


আপনি জানলে অবাক হবেন , একটি ওয়েবসাইটকে ব্যাপক মাএায় জনপ্রিয় করা সম্ভব এই অফ পেজ এসইও টেকনিকের মাধ্যমে। 

 আপনি হয়তো জানেন একটি ওয়েবসাইটের Ranking এর জন্য DA এবং PA কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনি যদি সঠিকভাবে অফপেজ এসইও করতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইটের DA এবং PA কে বৃদ্ধি করতে পারবেন। 


লিংক বিল্ডিং বা ব্যাকলিংক কেন গুরুত্বপূর্ণ? 

শুধু ভালাে কন্টেন্ট তৈরি করলেই যে সার্চ র্যাঙ্কিং ভালো হয়ে যায়, তা কিন্তু নয়। দীর্ঘ মেয়াদে
র্যাঙ্কিং ভালাে রাখার জন্য দরকার ওয়েবসাইটের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানাে। এসইওতে একে বলা
হয় অথােরিটি (Authority) প্রতিষ্ঠা করা।

অন্যান্য ওয়েবসাইট আপনার সাইটকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, তার উপর অথোরিটি কমবেশি
নির্ভর করে। সার্চ ইঞ্জিনগুলাে এ গুরুত্ব মাপে ইনবাউন্ড লিংকের মান আর সংখ্যা দিয়ে। অর্থাৎ,
যত বেশি সংখ্যক মানসম্মত ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটে লিংক করবে, সার্চ ইঞ্জিনগুলাে
আপনার ওয়েবসাইটকে তত বেশি প্রাধান্য দেবে। একারণে লিংক বিল্ডিং এসইওর জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।


লিংক বিল্ডিং



চলুন এবার জেনে নেই , অফপেজ এসইও করার জন্য কোন টেকনিক গুলো ফলো করতে হয়ঃ

• Backlink 
• Social Authority  
• Local Business etc 

দেখুন , অফ পেজ এসইও করার বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই উদ্দেশ্য গুলো হলোঃ

• Domain এর Ranking increase করা 
• Content Keyword কে Ranking প্রদান করা 
• Domain এর DA ও PA বৃদ্ধি করা


কোনো সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইট কে তখনি Ranking প্রদান করবে। যখন আপনার ডোমেইনের অথোরিটি বৃদ্ধি পাবে।

এখন প্রশ্ন হলো , একটি ডোমেইনের অথোরিটি কখন বৃদ্ধি পায় ?

সেজন্য শুরুতে আপনাকে জানতে হবে , DA এবং PA কি জিনিস। DA এর ফুল অর্থ হলো , Domain Authority . অর্থ্যাৎ , প্রত্যেকটি ডোমেইনের একটি নির্দিষ্ট স্কোর আছে। যেমন , আপনার ডোমেইনটি যদি নতুন হয় , তাহলে আপনার ডোমেইনের স্কোর হবে ১০০ % এর মধ্যে ০ - ১ % . যখন আপনি অফ পেজ টেকনিক ফলো করে আপনার ডোমেইনের এসইও করবেন , তখন ধীরে ধীরে আপনার ডোমেইনের স্কোরও বৃদ্ধি পাবে। 


অপরদিকে , PA এর ফুল অর্থ হলো Page Authority . যখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পেজ ও কন্টেন্টের জন্য অফ পেজ এসইও করবেন। তখন ডোমেইন অথোরিটির মতো Page Authority ও বৃদ্ধি পাবে। 
কিন্তুু এখানে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে যে , কেন আপনার ডোমেইন অথোরিটি এবং পেজ অথোরিটি বৃদ্ধি পাবে ? 

এর প্রধান কারন হলো , Backlink এবং Social sharing দেখুন , ব্যাকলিংকের মূল কাজ হলো অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইকে লিংকিং ( Linking ) করা। 

যখন ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে আপনার সাইটকে লিংক প্রদান করবে ৷ এর মানে হলো অন্যান্য ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একপ্রকার সুপারিশ প্রদান করবে। এই বিষয়টি সার্চ ইঞ্জিনকে পজেটিভ সিগন্যাল প্রদান করবে৷ এর কারন কি জানেন ? 


যখন ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইট আপনার ওয়েবসাইটের জন্য সুপারিশ করবে। তখন সার্চ ইঞ্জিনের ক্রলার ভেবে নিবে , আপনার ওয়েবসাইটে নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে। যার কারনে সবাই আপনার সাইটকে Link প্রদান করছে। এরপর সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটকে ধীরে ধীরে Ranking দেওয়া শুরু করবে। 


একটা ব্যাপার এখানে উল্লেখ করা দরকার। একটি ওয়েবসাইট অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে কতগুলাে লিংক পাচ্ছে, তার উপর এক সময় গুগল খুব বেশি জোর দিতাে। ফলে অনেকে টাকার বিনিময়ে লিংক কেনাসহ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করতেন। তাদের এ অপকর্ম বন্ধ করার উদ্দেশ্যে গুগল অ্যালগরিদমে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়। এ পরিবর্তনে লিংক সংখ্যার চেয়ে লিংকের মান বেশি গুরুত্ব পায়।

বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিনগুলাের জটিল অ্যালগরিদম বহু ক্ষেত্রে ব্যাকলিংকের সাহায্য ছাড়াই কন্টেন্টের বিষয়বস্তু আর মান যাচাই করতে পারে। তবে এর জন্য মানসম্মত কন্টেন্ট তৈরির পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেইজের মধ্যে সঠিকভাবে লিংক করতে হবে।

কোন ধরনের লিংক অর্জনের চেষ্টা করা উচিত?

চোখ বন্ধ করে উত্তর দিবেন "Follow"  বা ডু-ফলো লিংক।

একটি স্ট্যান্ডার্ড লিংক হয় এরকম:

<a href="https://example.com">Example Website</a>code-box

কোন ওয়েবপেইজে এমন স্ট্যান্ডার্ড লিংক খুঁজে পেলে সার্চ ক্রলারগুলাে সে লিংকেগিয়ে স্ক্যানিং করে। অর্থাৎ, ক্রলারগুলাে সে লিংকটিকে "Follow" করে।

এবার আরেকটি লিংক দেখা যাক:

<a href="https://example.com" rel="nofollow">Example Website</a>code-box


কোন ওয়েবপেইজে নােফলাে অ্যাট্রিবিউটযুক্ত লিংক খুঁজে পেলে সার্চ ক্রলারগুলাে আর সে
লিংকেগিয়ে স্ক্যান করে না। অর্থাৎ, এক্ষেত্রে ক্রলারগুলােকে বলা হচ্ছে ঐ লিংকটিকে
"Follow" না করতে।

অন্যান্য ভালাে ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে লিংক করার জন্য যখন স্ট্যান্ডার্ড লিংক ব্যবহার করা হয়, তখন সার্চ ইঞ্জনগুলাে তা গুরুত্ব সহকারে নেয়।

 আপনার উচিত এ ধরনের ইনবাউন্ড লিংক অর্জনের চেষ্টা করা।

nofollow অ্যাট্রিবিউটযুক্ত লিংক যে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতিকর বা একেবারে
অনর্থক, তা কিন্তু নয়। যেমন, আপনি যখন ফেসবুকে একটি পেইজ খুলে নিজের ওয়েবসাইটের লিংক সেখানে দেন, ফেসবুক তাতে noffolow অ্যাট্রিবিউট যোগ করে দেয়। এ লিংক সার্চ র্যাঙ্কিং বাড়ানােতে সরাসরি কোন ভূমিকা না রাখবে না। কিন্তু এর মাধ্যমে বহু ইউজার আপনার ওয়েবসাইটে আসতে পারেন।

আসলে এসইও সেক্টর এত বড় একটি আর্টিকেলে শেষ করা সম্ভব নয়।



টেকনিক্যাল এসইও কি?টেকনিক্যাল এসইও কিভাবে করতে হয়?
আপনি ওয়েবসাইটে অন-পেইজ,অফ-পেইজ এসইও করেছেন তার মানে এই নয় যে আপনার সাইট র‍্যাংকিং এ চলে আসবে। এর মধ্যো আরো কিছু হিডেন টেকনিক রয়েছে যার নাম টেকনিক্যাল এসইও।

Technical seo


টেকনিক্যাল এসইওর মধ্যো রয়েছেঃ
  • Website submission, 
  • Mobile Optimization, 
  • Website Speed Optimization, 
  • Sitemap & Robot.txt file,
  • Http or SSL certificate, 
  • Duplicate Content, 
  • URL structure, 
  • Website structure & Desing, 
আসুন উপরের বিষয় গুলোর উপরে একটু ধারনা নেওয়া যাক।

ওয়েবসাইট সাবমিশন(Website Submission) :

আপনি যখন কোন নতুন ওয়েবসাইট বানাবেন তখন কিন্তু সেটিকে সার্চ ইঞ্জিনে খুজে পাবেন না।এর জন্য আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হবে।

যেমনঃ গুগল  সার্চ ইঞ্জিনে যখন কোন ওয়েবসাইট সাবমিট করি বা সার্চ কনসলে সাইটম্যাপ এড করি তখন গুগল ক্রলার বট ওয়েবসাইটিকে ক্রল করে এবং সেই সাইটের তথ্য গুগলের ডাটাবেইযে ইনডেক্স করে নেয়।  তখনি কেবল সেই সাইটের তথ্য সার্চ ইঞ্জিনে পাওয়া যায়। আর যদি কোন কারনে ইন্ডেক্স না করে তো সেই সাইট বা ওয়েবপেইজের তথ্য সার্চ ইঞ্জিনে পাওয়া যাবেনা।

কিভাব গুগলে সাইটম্যাপ এড করতে হয় বা গুগলে ওয়েবসাইট সাবমিট করতে হয় সে বিষয়ে জানতে নিচের পোস্টটি পড়তে পারেন।




মোবাইল অপটিমাইজেশন(Mobile Optimization) :

মোবাইল ডিভাইসে যেন আপনার ওয়েবসাইট সুন্দরভাবে কোন ঝামেলা ছাড়াই সহজে পড়া যায় সেটি নিশ্চিত করুন।

  • এর কয়েকটা উপায় রয়েছে যেমনঃ

মোবাইল রেসপন্সিভ ডিজাইনঃএ ধরনের ডিজাইনে মোবাইলের স্কিনের সাইজ অনুযায়ী ওয়েবসাইটের লেআওট নিজে থেকেই বদলে যায়,যার কারনে সব ধরনের ডিভাইস থেকে পাঠকরা সহজেই আপনার সাইটের কন্টেন্ট পড়তে পারে।

Mobile Friendly


মোবাইল ভার্সন (Mobile Version) :
যখন কোন ইউজার মোবাইল ডিভাইস থেকে আসে তখন সে এই Version টি দেখতে পায়।

ইউআরএল টি দেখতে এমন হয়ঃ m.example.com এর জন্য আলাদা টেকনিক্যাল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন।

আপনার ওয়েবসাইটে যদি Mobile Version না থাকে শুধু  Desktop version  থাকে তবে মোবাইল ব্যাবহারকারী যখন আপনার সাইট ভিজিট করবে তখন সাইটের স্পিড কম হতে পারে।
যার কারনে আপনি ভিজিটর হারাতে পারেন।


ওয়েবসাইট স্পিড অপ্টিমাইজেশন ( Website Speed Optimization):

একটি ওয়েবপেজ যাওয়ার পর যদি লোডিং হতে বেশি সময় নেয় তাহলে ইউজার বিরক্তবোধ করবে এবং  সেখান থেকে নিশ্চিত বের হয়ে আসবে।
তাই
  • ভালো কোন হোস্টিং প্রভাইডার হতে হোস্টিং নিতে হবে এতে যদিও টাকা বেশি খরচ হবে কিন্তু অনেক উপকার হবে,
  • কম সাউজের ভালো মানের ইমেজ ব্যাবহার করতে হবে,
  • গুগলের পেইজস্পিড ইনসাইড টুলস ব্যাবহার করতে পারেন।
হেডিং




সাইটম্যাপ বা রোবট.টেক্সট ফাইল( Sitemap or Robot.txt File):

সাইটম্যাপ হলো এমন একটি ফাইল যেখানো কোন ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট গুলোর তালিকা থাকে।

এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন গুলো আপনার কন্টেন্টকে সঠিকভাবে খুজে নিতে পারে।

Sitemap



তবে সাইটম্যাপের সাইজ ৫০ মেগাবাইট এর বড় বা ৫০ হাজার লিংক এর উপরে হলে  আপনাকে একাধিক সাইটম্যাপ ব্যাবহার করতে হবে। একটি সাইটের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ টি সাইটম্যাপ যোগ করতে পারবেন।

Robot.txt file: নাম শুনেই বুঝতে পেরেছেন আসলে একটি রোবট।আপনই এই রোবটকে যে যে ওয়েবপেজগুলো ক্রল করতে বলবেন সে ওই পেজ গুলোই ক্রল করবে।


ধরুন,আপনার ওয়েবসাইটে এমন কিছু পেইজ রয়েছে যেগুলো আপনি ক্রলিং এ দিতে চাচ্ছেন না। 
ওয়েবক্রলার গুলোকে আপনি প্রাথমিক ভাবে সেই নির্দেশ দিতে পারেন  Robit.txt ফাইলের মাধ্যমে।

কিছু উদাহরণ দেখে নিনঃ

সব কনটেন্ট ক্রলারের জন্য বন্ধ করতেঃ 

User-agent:*
Disallow:/

Google bot


একটি নির্দিষ্ট পেজ ( /examle/page11.html)ক্রালারের জন্য বন্ধ করতেঃ

User-agent:*
disallow:/example/page11.html



একটি নির্দিষ্ট পেজ ( /examle/page11.html)শুধু গুগল ক্রালারের জন্য বন্ধ করতেঃ

User-agent:Google-bot
Disallow:/example/page11.html


উল্লেখিত User-agent হলো বটের নাম আর Disallow দ্বারা ক্রলিং বন্ধ রাখাকে বোঝানো হয়েছে।

Search engine boat


Robot.txt ফাইলের সাথে র‍্যাংকিং এর কোন সম্পর্ক নেই তবে ওয়েবসাইটের কোন পেজকে ক্রলিং এর বাইরে রাখার জন্য এটি ব্যাবহার করা হয়।


Http or SSL certificate :

 আপনি যখন গুগল বা ফেইজবুক ব্যাবহার করেন তখন এড্রেসবারের বাম পাশে তালা চিহ্ন দেখতে পান? যদি দেখতে পান তাহলে ওই ওয়েবসাইটি নিরাপদ।

এর পিছনে অনেজ জটিল বিষয় রয়েছে, একটা আর্টিকেলে এত বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়।
যখন কোন ওয়েবসাইটের মধ্যো ডেটা আদান-প্রদান হয় তখন তাকে বলে হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল বা এইসটিটিপি ( http) তবে এটি ডাটার নিরাপত্তা দুতে পারেনা তাই প্রয়োজন হয়  Https এর। 

Https


Https এর জন্য ওয়েবসাইটে  SSL ইন্সটল থাকতে হয়।

ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট কি?
একই কন্টেন্ট যদি ওয়েবসাইটের  একাধিক পেইজে থাকে তাহলেই তা ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট। এই ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট একই ওয়েবসাইটের ভিতরে হতে পারে আবার ভিন্ন ওয়েবসাইটের ভিতরেও হতে পারে।
 
ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট



কখনো পুরো কন্টেন্ট (১০০ ভাগ) ডুপ্লিকেট হতে পারে, কখনো একটা নির্দিষ্ট অংশ ডুপ্লিকেট হতে পারে।

ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট ২ প্রকার হয়ে থাকেঃ
  1. ইন্টারনাল ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট
  2. এক্সটারনাল ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট 
ইন্টারনাল ডুপ্লিকেট কন্টেন্টঃ  যখন কোন ওয়েবসাইটের একটি কন্টেন্ট ঐ ওয়েবসাইট এর অন্য একটি  পেজের কন্টেন্ট এর সাথে মিলে যায় তাকে ইন্টরনাল ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট বলে ।

ইন্টারনাল ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট



এক্সটারনাল ডুপ্লিকেট কন্টেন্টঃ যখন কোন ওয়েবসাইটের একটি কন্টেন্ট অন্য আরেকটি ওয়েবসাইট এর একটি কন্টেন্ট এর সাথে মিলে যায় তাকে এক্সটারনাল ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট বলে ।


এক্সটারনাল ডুপ্লিকেট কন্টেন্টঃ


ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট ওয়েবসাইট এর এসইও জন্য ক্ষতিকারক ।ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট ওয়েবসাইট রাঙ্কিং এ বড় বাধা হয়ে দাড়ায় ।


তাছারা ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট এর কারনে গুগল ভুল পেজ কে রাঙ্কিং করতে পারে।ওয়েবসাইট এর কোন একটি পেজের কন্টেন্ট অন্য একটি পেজে ডুপ্লিকেট হয়ে থাকলে এবং গুগল আলগারিদম অনুযায়ী সে এসইও সম্পন্ন হলে ভুল পেজ রাঙ্কিং হতে পারে।


তাই এই ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট খোজে বের করা খুবি গুরত্বপুর্ন । Copyscape মাধ্যমে এই কন্টেন্ট খোজে বের করা যায়।


ইউআরএল স্টাকচার ( URL structure) :

ইউআরএল স্ট্রাকচার খুব সহজ এবং বোধগম্য রাখুন যাতে সার্চ ইন্জিন এবং ইউজার উভয়েরই পড়তে এবং বুঝতে সুবিধা হয়।


 সার্চ রেজাল্টে  টাইটেল  এর সাথে URL ও দেখা যায়, এ সেশন আইডি বা অপ্রয়োজনীয় প্যারামিটার ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।


URL


উপরের URL দেখুন এটা একটা খারাপ URL এর উদাহরন এবং এই ধরনের URL মোটেও SEO Friendly নয়।

https://www.tunes71.com/2021/09/seocode-box


উপরের URL টি দেখুন,এটি মনে রাখতে খুবি সহজ এবং কন্টেন্ট টাইলের ফোকাস Keyword টি ইউআরএল এ রাখা হয়েছে,এটি একটি আদর্শ URL।

URL এ ছোট হাতের অক্ষর ব্যবহার শোভনীয়,ছোট বড় হতের একসাথে করলে দেখতেও খারাপ লাগে,আসলে এটা এড়ানো উচিৎ।

ওয়েবসাইট স্টাকচার & ডিজাইন ( Website structure & Desing) :

প্রতিটি ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট একটি কাঠামো রয়েছে,একটি ওয়েব সাইটের পেজগুলো কীভাবে সাজানো থাকবে বা পরস্পর লিংক করা থাকবে তাই হলো ওয়েব সাইটের কাঠামো (Structure)।

ওয়েব সাইটের স্ট্রাকচারে ওয়েব পেজগুলো হাইপারলিংকের মাধ্যমে একটি পেজ অন্য এক বা একাধিক পেজের সাথে সংযুক্ত থাকে।

একটি ভালোমানের ওয়েব সাইট তৈরির করার জন্য তার স্ট্রাকচার বা কাঠামো নির্ধারণ করে দিতে হয়। কারণ একটি ওয়েব সাইটে প্রবেশ করলে প্রথমে কোন পেজ আসবে, সেখানে থেকে অন্যান্য পেজে কীভাবে যাওয়া যাবে তা ওয়েব সাইটের কাঠামোতে নির্ধারণ করে দিতে হবে।



একটি ওয়েব সাইটের কাঠামোতে পেজগুলোকে মূলত তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা-

  1. হোম পেজ (Home Page or Index Page)
  2. মূল ধারার পেজ (Main Sections or Site Index)
  3. উপ-ধারার পেজ (Subsections or Content)
website structure


নিয়মমাফিক স্ট্রাকচার ব্যবহার করে ওয়েব সাইট তৈরি করা হলে ওয়েব সাইটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং ব্যবহারকারী সহজে ব্রাউজ করতে পারে।

 ওয়েব ডিজাইনঃ  ওয়েব ডিজাইন মানে হচ্ছে একটা ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে বা এর সাধারন রূপ কেমন হবে তা নির্ধারণ করা। 

যেমন ধরুনঃ কোন ওয়েবসাইটের  লেআউট কেমন হবে,হেডারে কোথায় মেনু থাকবে,মেনুতে কি কি সব মেনু থাকবে, সাইডবার হবে কিনা, ইমেজগুলো কিভাবে প্রদর্শন করবে ইত্যাদি। 

ভিন্ন ভাবে বলতে গেলে ওয়েবসাইটের  তথ্যগুলো কিভাবে দেখানো হবে সেটা নির্ধারণ করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার এর কাজ।

সবসময় চিন্তা করবেন আপনার সাইটিকে পরিষ্কার রাখা, (যেমনঃ বেশি লেআউট, বেশি এড কোড বা কন্টেন্টে কালার দিয়ে ভরিয়ে ফেলা) যাতে পাঠক আপনার কন্টেন্ট পড়তে এসে বিরক্ত না হয়।

NOTE:পোস্ট এখনো শেষ হয়নি,পরবর্তী আপডেট আশা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন,এসইওর আরো অনেক কিছু বাকি আছে। এখানে কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্ট করুন।

Post a Comment

Previous Post Next Post