টি-শার্ট ডিজাইন কি এবং কিভাবে করতে হয়? (ফুল কোর্স)

আমরা কম বেশি সবাই টিশার্ট পরিধান করি।কিন্তু এই টিশার্ট  আসলে কি আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক টিশার্ট কি? টিশার্ট হলো ইংরেজী শব্দ, মূলত টিশার্ট হলো একধরণের শার্ট যা পরিধান করলে দেহের ওপরের অংশে কাঁধের বেশির ভাগ অংশ ঢেকে রাখে।
 টিশার্টকে অনেকটা ইংরেজী 'টি' (T) অক্ষরের ন্যায় দেখতে। সেজন্য এই পোশাককে টিশার্ট নাম দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের পোশাকে/টিশার্ট-এ অনেক রকমের ডিজাইন দেখা যায়। যেমন বিভিন্ন দৃশ্য, মানুষের ছবি, গাড়ীর ছবি ইত্যাদি। কিন্তু কিছু কিছু টিশার্টে কোনো কিছু থাকেনা। মানে একেবারে সাদাসিধে। এছাড়া আজকাল টিশার্ট বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও অনেক বড় ভূমিকা রাখছে।

টি শার্ট ডিজাইন করে ইনকাম করার উপায়?


অনলাইন থেকে আয় করার একটি সহজ ও ভালো মাধ্যম হলো  টি শার্ট ডিজাইন করা এবং ডিজাইন গুলো বিক্রি করে আয় করা।

আপনি যদি টি শার্ট ডিজাইন করে বিক্রি করে আয় করতে চান।তাহলে টি শার্ট ডিজাইন করে ভালোমানের একটি ইনকাম করতে পারবেন যদি আপনি ডিজাইন করার এই টুলস গুলো ব্যবহার করতে পারেন। 

আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন।

 এর জন্য আপনাকে খুব বেশি এক্সপার্ট হতে হবে না। নিজের মাথার ভিতর কিছু ক্রিয়েটিভিটি থাকলেই আপনি এই কাজটি করতে পারবেন। তার জন্য অবশ্যই আপনাকে এডোবি ইলাস্ট্রেটর  সফটওয়্যারটি ভালোভাবে শিখে নিতে হবে।

 অনেক মারকেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আপনি ই টি-শার্ট ডিজাইন গুলো বিক্রি করে দিতে পারেন।

তার মধ্যে  জনপ্রিয় সাইটে হচ্ছে teespring ,march by Amazon.

এই সাইট গুলোতে আপনি আপনার তৈরি ডিজাইন করা  টি-শার্টটি সাজিয়ে রাখতে পারেন। এখান থেকে যে কেউ আপনার টি-শার্টটি  কিনে নিতে পারে।

এই সাইট গুলো যেভাবে কাজ করে:

এই সাইট গুলো  আপনারা যারা  টি শার্ট ডিজাইনার  তাদের ডিজাইনকৃত শার্ট অথবা যে কোন একটি

প্রোডাক্ট রাখার জন্য একটি স্টোর দিয়ে থাকে । সেই ডিজাইনকৃত প্রোডাক্টটি বিভিন্ন কোম্পানি এবং বিভিন্ন বায়ার সেগুলো দেখে থাকে।  আর তার মধ্যে যদি কারো পছন্দ হয় তাহলে সে যদি আপনার ডিজাইন করা টি শার্ট অর্ডার করে তাহলে তারা সেই শার্টই তৈরি করে তাঁদেরকে পাঠিয়ে দিয়ে থাকে এবং সে বিক্রি করা শার্টটি যে দামে বিক্রি হবে তার থেকে কিছু পার্সেন্ট এ মারকেটপ্লেস কেটে নিবে আর বাকি পার্সেন্ট আপনাদের কে দিয়ে দিবে এটাই হচ্ছে এই মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রক্রিয়া। 

আপনি যদি এ সমস্ত মার্কেট সর্ম্পকে জানেন তবে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন এখান থেকে। 

এছাড়াও আপনি আরো ভালো ভাবে আয় করতে পারবেন ‍যদি আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকে। 

আপনি আপনার তৈরিকৃত টি শার্ট গুলো আপনার সাইটে দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন এবং তা বিক্রি করতে পারেন।

সেগুলো পিএইচডি অথবা  যে কোন ফাইল হোক না কেন আপনি বিক্রি করতে পারবেন।

একজন টি শার্ট ডিজাইনার হতে হলে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সর্ম্পকে ভাল ধারণা রাখতে হবে।সেই সাথে ধারণাথাকতে হবে  কিছু টুলসের ব্যবহার সর্ম্পকে এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজে টি শার্ট ডিজাইন করতে পারবেন।


কিভাবে টি-শার্ট ডিজাইন শিখবেন?

Teespring হচ্ছে একটি কাস্টম টি-শার্ট ডিজাইন প্লাটফর্ম, যেখানে আপনি টি-শার্ট ডিজাইন করে সেল করতে পারবেন। আর এই টি-শার্ট ওয়ার্ল্ড ওয়াইড সেল করা যায়, তবে USA এবং Europe-এ বেশি সেল হয়। Teespring এ আপনি অনেক ধরনের ডিজাইন করতে পারবেন, যেমন – টি-শার্ট/হুডি/ভি-নেক/লং-স্লিভ ইত্যাদি। প্রতি মাসে $1000 ডলার ইনকাম করা সম্ভব টি-শার্ট ডিজাইন ও বিক্রয় করে।
ধরুন, যদি টি-শার্টের দাম ২২ ডলার হয় আপনি পাবেন ৫০% কমিশন অর্থাৎ ১১ ডলার । ১ ডলার =৮০ টাকা হলে, ১১ ডলার = ৮৮০ টাকা (প্রায়)। আপনার ডিজাইনটি যতবার বিক্রয় হবে আপনি ততবার কমিশন পাবেন। লোগো একটি কোম্পানির চাক্ষুষ ব্র্যান্ড সনাক্তকরণ তৈরির চেয়ে বেশি। একটি ভাল পরিকল্পিত টাইপোগ্রাফি বা বর্ণমালা লোগো আপনার কোম্পানির পরিচয় বহন করে । তাই আপনার টাইপোগ্রাফি লোগোটি হতে হবে ইউনিক এবং ক্রিয়েটিভ।
Teespring মার্কেটপ্লেস হচ্ছে টি-শার্ট বিক্রয় করার একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। এই মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে আপনাকে ডিজাইন এবং মার্কেটিং জানতে হবে। এই মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সাররা টি-শার্ট ডিজাইন করে এবং নিজেরাই ডিজাইনকৃত টিশার্ট মার্কেটিং করে বিক্রয় করে। এর মাধ্যমে ফ্রীলেন্সাররা বিক্রি করা টি-শার্টের মূল্যের উপর নির্দিষ্ট হারে কমিশন পায়। তবে আপনি যদি কোন ডিজাইনারকে নিয়োগ দিতে পারেন তাহলে ডিজাইন না জানলেও চলবে। অর্থাৎ, চাইলে দুই জনের টিমও একত্রে হয়ে কাজ করতে পারেন।
Teespring এ ডিজাইন নিয়ে বায়াররা কি করে?
তারা আমাদের কে সামান্য একটা পারিশ্রমিক দিয়ে, এই ডিজাইন দিয়ে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করে, অথবা তাদের কম্পানির জন্য ব্যবহার করে। আসলে আমরা কখনো রিসার্চ করতে চাইনা, যত টুকু কাজ শিখছি তাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাই, আমাদের জন্য অনেক ভালো ভালো সুযোগ রয়েছে যেটা আমরা কাজে লাগাতে পারি, যেখান থেকে আপনি ইনকাম করতে পারেন এতো টাকা যা কল্পনাও করতে পারবেন না ফ্রী/পেইড দুই ভাবেই। Teespring আপনার বিক্রয়ক্রিত টি-শার্ট প্রিন্ট করাবে এবং নির্দিষ্ট ক্রেতার নিকট পাঠিয়ে দিবে, তাই আপনার আসল কাজ হচ্ছে ভালো ডিজাইন করা এবং তা মার্কেটিং করা।
কিভাবে ইনকাম করবেন? 
Teespring একটা কাস্টম ডিজাইন টি-শার্ট প্লাটফর্ম যেখানে খুব সহজে ডিজাইন সাবমিট করে ফ্রী তে সেল পেতে পারেন, চাইলে আপনি পেইড মার্কেটিং ও করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ফেসবুক এ এড এর মাধ্যমে পেইড করতে হবে। যেহেতু আমরা USA এবং Europe-এ সেল করবো, সেহেতু আমাদের US এবং Europe এর মার্কেট খেয়াল রাখতে হবে, তারা কেমন টি-শার্ট পরতে পছন্দ করে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা কেমন টি-শার্ট পরে, এগুলা সম্পর্কে আইডিয়া নিতে হবে, যেমন মনে করুন আমাদের দেশ এ যখন ধর্মীও অনুস্থান হয়, তখন আমরা অনেক শপিং করি, সেরকম USA এবং EU এ হয়, অদের ধর্মীও অনুষ্ঠানে ওরা অনেক শপিং করে, আর অন্যকে গিফট দেয় বেশি, কখন কি টাইপ অনুষ্ঠান হচ্ছে সেটার দিকে খেয়াল রেখে, নিজের ডিজাইন করলেই ভালো সেল হবে।
অন্যের ডিজাইন কপি করতে পারবো ?
অন্যের ডিজাইন কপি করা যাবেনা, তবে সিমিলার ট্রাই করতে পারেন, (অন্য সাইট থেকে) তবে ১০০% ডিজাইন মিলে গেলে শুধু মাত্র সেই ডিজাইন তা ডিলেট করে দিবে Teespring, অথবা নিজেই তৈরি করতে পারেন নিউ ডিজাইন, আমি সিমিলার ডিজাইন করেও অনেক সেল পাইছি, এখানে সব চেয়ে বেশি সেল হচ্ছে এমন সব ডিজাইন দেয়া আছে, আপনি চাইলে এখান থেকে নিজের নিস অনুযায়ী আইডিয়া নিতে পারেন এবং এর সিমিলার ডিজাইন ও করতে পারেন, তবে ১০০% ডিজাইন মিলে গেলে শুধু মাত্র সেই ডিজাইন তা ডিলেট করে দিবে Teespring.

শেষ কথাঃ টি-শার্ট ডিজাইন নিয়ে অনেক কথা বলছি এর পরেও যারা না বুঝেন নিচের কোর্স টি দেখতে পারেন।

Courses Name:T-shirt Design Course

 Language : Urdu & Hindi 




এডু মেইল (.edu mail) কি এবং এটি ব্যাবহার এর সুবিধা কি?alert-success 

4 Comments

  1. vai Amar T Shirt design ar course lagbe ... plzzz help koren vaia

    ReplyDelete
    Replies
    1. পোস্ট এর শেষে লিংক দেওয়া আছে।

      Delete
  2. লিংক আছে। ভিতরে প্রত্যেকটা ফোল্ডার খালি। শুধু একটা ফোল্ডারে কয়েকটা ভিডিও আছে।

    ReplyDelete
  3. অনেকদিন আগের পোস্ট,ফাইল গুলো হয়তো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

    ReplyDelete

Post a Comment

Previous Post Next Post