WWW,HTTP,HTTPS & SSL Certificate  কী? এর কাজ কি? (বিস্তারিত)
WWW,HTTP,HTTPS & SSL Certificate  কী? এর কাজ কি? (বিস্তারিত)

আমরা ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় Address Bar এ http/https & WWW লেখা গুলো দেখে থাকি। অনেকে হয়তো জানিয়া আসলে এটার কাজ টা কি? তাদের জন্যই আজকের লেখাটি।


Http কি? 

HTTP” হল একটি প্রটোকল। পুর্ণ রুপঃ HyperText Transfer Protocol। HyperText Transfer করবার জন্য যে প্রটোকল তাই “HTTP”


 HyperText কি?

 Hypertext বলতে আসলে ওয়েবের টেক্সট, লিংক এবং পাশাপাশি ওয়েব বেজড কন্টেন্ট যেমন ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি কে বোঝায়।


Http এর মানে হচ্ছে Hyper Text Transfer Protocol। এটা এক ধরনের প্রোটোকল যা দিয়ে ইন্টারনেটে কমিউনিকেশন করতে হয়। কোন ওয়েবসাইট দেখার সময় এটি এখন ব্রাউজারে নিজে থেকেই ব্যবহার হয়ে থাকে তাই আলাদা ভাবে দেওয়া লাগবে না।

 HTTPS: আর https হচ্ছে Hypertext Transfer Protocol over Secure Socket Layer, অথবা HTTP over SSL, এটি নেটস্কেপ এর ডেভেলপড একটি সিস্টেম যা আপনার রিকোয়েস্ট এনক্রিপ্ট ও দিস্ক্রিপ্ট করে সার্ভারের সাথে তথ্য আদান প্রদান করবে। একই ভাবে সে সার্ভারের তথ্য ও এনক্রিপ্ট ও ডিসক্রিপ্ট করবে।

 

Http আবিষ্কারের ইতিহাসঃ

 হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল বা এইচটিটিপি হচ্ছে ইন্টারনেটে তথ্য আদান প্রদানের একটি জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত পদ্ধতি। পদার্থবিদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স লী ১৯৮৯ সালে এই পদ্ধতিটি তৈরি করেন। এইচটিটিপির প্রথম সংস্করণ হল এইচটিটিপি/১.১, যা ১৯৯৭ সালে আরএফসি ২০৬৮ নামে প্রথম ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৯ সালে আরএফসি ২৬১৬ এবং ২০১৪ সালে আরএফসি ৭২৩০ প্রচলিত হয়।

এইচটিটিপি/১.১ এর পরের সংস্করণ এইচটিটিপি/২ তৈরি করা ২০১৫ সালে এবং এটি বর্তমানে বড় বড় ওয়েব সার্ভার ও ব্রাউজারে এএলপিএন এক্সটেনসনের মাধ্যামে টিএলএস দিয়ে ব্যবহৃত হয়।এসকল ক্ষেত্রে টিএলএস ১.২ বা এর নতুন সংস্করণ প্রয়োজন।



HTTPS কি?

 HyperText Transfer Protocol  secure।সহজ কথায় বলা যায় https হচ্ছে http-এর চেয়ে অধিকতর নিরাপদ। যখন ক্লায়েন্ট (Browser) ও সার্ভারের মধ্যে যোগাযোগ হয়, তখন http প্রটোকল ব্যবহার করলে মাঝে কোনো তৃতীয় পক্ষের দ্বারা ক্লায়েন্ট-সার্ভারের মধ্যে যেসব মেসেজ আদান-প্রদান হচ্ছে, সেগুলো পড়ে ফেলা সম্ভব। এতে নিরাপত্তার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়


 স্পর্শকাতর তথ্য যেমন ক্রেডিট কার্ড, পাসওয়ার্ড এগুলো চুরি করা সম্ভব হয়। আর যখন https ব্যবহার করা হয়, তখন ক্লায়েন্ট-সার্ভারের মধ্যে যোগাযোগটা এনক্রিপ্টেড (encrypted) থাকে। তাই তৃতীয় পক্ষের দ্বারা সেসব মেসেজ পড়ে মর্মার্থ উদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই এটি অনেক নিরাপদ।


আর তাই আজকাল  অনেক ওয়েব সাইটেই https প্রটোকল  ব্যবহার করে থাকে, বিশেষ করে যে সমস্ত ওয়েব সাইট – এ পেমেন্ট সিস্টেম আছে কিংবা বিভিন্য ব্যাংক গুলো । পাশাপাশি ইমেইল সার্ভিস প্রভাইডার কিংবা সোস্যাল মিডিয়া ওয়েব সাইট গুলোও HTTPS Protocol ব্যবহার করে।

যেসব ওয়েবসাইট HTTPS Protocol ব্যবহার করে, এড্রেস বারে তাদের এড্রেসএর আগে দেখবেন সবুজ রং এ তাদের পুরো নাম দেয়া থাকে এবং এর উপর মাউস নিয়ে গেলে দেখায় কার কাছ থেকে এই সাইট টি ভেরিফাইট করা হয়েছে এবং সামনে একটি সবুজ তালা ও থাকে।

WWW,HTTP,HTTPS & SSL Certificate  কী? এর কাজ কি? (বিস্তারিত)
Example : Tunes71.com SSL certificate (https)


হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল সিকিউর বা এইচটিটিপিএস (Hypertext Transfer Protocol Secure বা HTTPS) হল ইন্টারনেটে বহুল ব্যবহৃত একপ্রকার সুরক্ষিত কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রটোকল।এইচটিটিপিএসে যোগাযোগ প্রটোকল ট্রান্সপোর্ট লেয়ার সিকিউরিটি (টিএলএস) বা এর পূর্ববর্তী সিকিউর সকেটস লেয়ার (এসএসএল) দিয়ে এনক্রিপ্ট করা হয়। এই প্রটোকলকে তাই এইচটিটিপি অভার টিএলসি বা এইচটিটিপি অভার এসএসএল বলা হয়।

এটি ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় ওয়েব সার্ভার থেকে ইউজারকে ম্যান-ইন-দ্য-মিডল আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।


SSL (Secure Sockets Layer) Certificate: হলো একটি Digital Certificate যা Web Browser এবং Web Server  এর মধ্যে একটি Encrypted Secure Connection তৈরি করে আপনার এবং আপনার Customer দের তথ্য সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।

এই SSL Certificate সাধারণত ওয়েব পেজে Install করা হয়।যা ব্যবহারকারীর সংবেদনশীল তথ্য যেমন, Login Name, Password, Pin Code, Payments Details (ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর) নিরাপদে রাখে।

সাধারণত, সেসব ওয়েবসাইটে ‍SSL Certificate আছে যেসব Site Address বা URL এর শুরুতে https:// থাকবে।। আর যে সব সাইটে URL এর শুরুতে http:// দেখবেন সে সব সাইটে SSL Certificate দেয়া নাই। এমন সাইটে কেনা-কাটা করা নিরাপদ নয়।

এসএসএল (SSL) এর অর্থ SECURE SOCKETS LAYER , ওয়েবসাইটে ক্রেতার তথ্য সুরক্ষিত রাখার একটি ভাগ কিংবা স্তর বলা যেতে পারে এই এসএসএল’কে । SSL ইন্টারনেট মাধ্যমে প্রেরিত সকল তথ্য কিংবা ডাটাকে সুরক্ষিত রাখে এবং ক্রেতা কিংবা সেই ওয়েবসাইট থেকে সেবা গ্রহণকারীকে সকল তথ্য নিরাপদ রাখে ।

একটি ওয়েবসাইট কিংবা ই-কমার্স সাইটে SSL এর সার্টিফিকেট এর কথা যখন উল্লেখ থাকবে তখন ক্রেতা সেই সাইট থেকে প্রোডাক্ট অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে । কারণ ক্রেতা জানবে এই সাইট থেকে প্রোডাক্ট কেনা তার জন্যে আর্থিকভাবে অধিক নিরাপদ । ক্রেতা অনলাইনে প্রোডাক্ট কেনার সময় যে অনলাইন পেমেন্ট কার্ড ব্যবহার করে সেই কার্ডের নাম্বার, secure code ব্যবহার করতে হয় সেই কেনাকাটার ওয়েবসাইটে । SSL সার্টিফিকেট চিহ্ন থাকলে অনলাইন সাইটটিতে তখন ক্রেতা তার কার্ড ব্যবহার করতে নিরাপদ মনে করে । এতে করে তার কার্ডের তথ্য প্রাইভেট কিংবা ব্যক্তিগতভাবেই সেই সাইটে সংরক্ষিত থাকে । ক্রেতা প্রোডাক্ট কিনতে তখন অনেক স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।


আপনারা দেখে থাকবেন, আপনারা যা নতুন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তখন আপনাদের ওয়েবসাইটে “HTTPS” থাকে না বা থাকলেও সাইট টির এড্রেস এর পাশে রেড এলার্ট দেখায় । এর কারণ হচ্ছে, আপনার সাইট এ SSL ইন্সটল করা নেই । আপনি যদি আপনার হোস্টিং প্রোভাইডার বা আপনি নিজেই SSL কিনে আপনার সাইটে সেট আপ করেন তবে আপনার সাইটের এড্রেস বারের পাশে গ্রীন আইকন দেখাবে!

বর্তমানে অনেক ফ্রী SSL পাওয়া যাচ্ছে । আবার, কোনো কোনো হোস্টিং প্রোভাইডার বা কোম্পানি হোস্টিং এর সাথে SSL ফ্রী দিয়ে থাকে।


SSL সার্টিফিকেট কেনো ব্যাবহার করবো?


WWW,HTTP,HTTPS & SSL Certificate  কী? এর কাজ কি? (বিস্তারিত)

SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করার অনেক গুলো কারণ রয়েছে । আপনি যদি বড় কোনো অনলাইন শপিং কোম্পানি শুরু করতে চান । তাহলে আপনার কোম্পানির যা থাকা দরকার তা রাখেন কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটে SSL না থাকে, সে ক্ষেত্রে আপনার সকল কষ্ট বৃথা । পরে যদি আপনি SSL না সেটাপ করেন । শেষে দেখা গেলো, কোনো কাস্টোমার আপনার কোম্পানি কে বিশ্বাস করছেনা । 

এর কারণ হচ্ছে, SSL এমন একটি সার্টিফিকেট যেখানে ভিজিটরদের সকল গোপনীয় তথ্যের নিরাপত্তা থাকে । বিশ্বাসের সাথে বিভিন্ন পেমেন্ট কার্ড ব্যবহার করতে পারে । SSL না থাকলে তাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী কেউ সহজেই হাতিয়ে নিতে পারে । এজন্য, কাস্টোমার রা SSL বিহীন কোনো সাইট বা কোম্পানি কে বিশ্বাস করেনা । মোট কথায় SSL আপনার ওয়েবসাইট কে ভিজিটর দের কাছে বিশ্বাস যোগ্য করে তোলে ।

 SSL সার্টিফিকেট কোথা থেকে নিবেন?

সাধারণত,যেসব ওয়েবসাইটে ‍SSL সার্টিফিকেট আছে সেসব ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস বা URL এর শুরুতে https://থাকবে। আর যে সব সাইটে URL এর শুরুতে http:// দেখবেন সে সব সাইটে SSL Certificate  দেওয়া নাই। এমন সাইটে কেনা-কাটা করা নিরাপদ নয়। যখন একটি ব্রাউজার SSL সার্টিফিকেট যুক্ত Web Server এর সাথে কানেক্ট হতে চায়, তখন ব্রাউজার আগে নিজের পরিচয় Web Server কে প্রদান করে। তারপর ওয়েব সার্ভার ব্রাউজারকে তার Web Certificate পাঠায়। তখন ব্রাউজার ওয়েব সার্ভার টি Trustworthy কিনা তা চেক করে এবং Web Server  কে একটি মেসেজ পাঠায়।

তারপর ব্রাউজার এবং Web Server এর মধ্যে Digital Encrypted Data দেখায়। এই পুরো প্রক্রিয়ায়, ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভার নিজেদের মধ্যে ট্রাস্টেটভাবে ডাটা প্রদর্শন করে এবং ব্রাউজার ওয়েব সার্ভারের ডাটা সিকুইরড ( Data Secured)  দেখায়।

আপনি যদি আপনার সাইটের জন্য SSL সার্টিফিকেট কিনতে চান তবে আপনি Namecheap,Godday, Domain.com এ সমস্ত সাইট থেকে কিনতে পারেন।কারন তারা আপনাকে অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে।

SSL সার্টিফিকেট এর প্রকারভেদঃ

SSL সার্টিফিকেট বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো Secure Domain এর (সংখ্যার) উপর ভিত্তি করে SSL সার্টিফিকেট কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:-

১. সিঙ্গেল নেম এসএসএল সার্টিফিকেট (Single Name SSL certificate):

Single Name SSL certificate শুধু মাত্র একটি Domain এই SSL সার্টিফিকেট ভেলিডেট(Validate) করতে পারে। কোন Sub Domain এটা ভেলিডেট করতে পারে না।

২.ওয়াইল্ড কার্ড এসএসএল সার্টিফিকেট (Wildcard SSL Certificate):

Wildcard SSL Certificate একটি Domain এর আন্ডারে সকল Sub Domain ও ভেলিডেট করতে পারে।

৩.মাল্টি ডোমেইন এসএসএল সার্টিফিকেট (Multi-Domain SSL Certificate):

Multi-domain SSL Certificate একাধিক Domain এবং Sub Domain সার্টিফাইড করতে পারে। যারা একসঙ্গে কয়েকটি বিজেনস ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ চালান তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য।

ভেলিডেশনের ( Validation) উপর ভিত্তি করে SSL তিন ধরণের হয়ে থাকে।

যেমন-

১) ডোমেইন ভেলিডেশন (Domain Validation):-

মূলত SSL সার্টিফিকেট আপনার Email Address অথবা DNS Record এর উপর ভিত্তি করে ডোমেইন ভেলিডেট (Domain Validate) করে থাকে। মূলত আপনি যে ডোমেইন এর মালিক সেটার ভেলিডেশন করায় এটার কাজ।

যাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দরকার পড়ে না তারা এই ধরণের SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারে এবং এটি বেশ চিপও বটে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এটি একটিভ করা যায়।

২) প্রাতিষ্ঠানিক ভেলিডেশন (Organization Validation):

ই-কমার্স অথবা ব্যবসায়িক ওয়েব সাইটের জন্য এটায় সব থেকে কম দামের SSL সার্টিফিকেট।

ডোমেইন ভেলিডেশন এবং অর্গানাইজেশন ভেলিডেশনের মধ্যে পার্থক্য হলো ডোমেইন ভেলিডেশন

শুধুমাত্র ডোমেইন সার্টিফিকেশন দেয় অন্যদিকে অর্গানাইজেশন ভেলিডেশন প্রাতিষ্ঠানিক এড্রেস,

লোকেশন সহ অন্যান্য বেশ কিছু ভেলিডেশন দেয়। সাধারণত ২-৩ দিন লাগে এটা ভেলিডেট করতে।

৩) এক্সটেনডেট ভেলিডেশন (Extended Validation)

যেইসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন ট্রানজেকশন (Transaction) হয় সেখানে এক্সটেনডেট ভেলিডেশন খুবই গুরুত্বপুর্ণ। বেশিরভাগ ব্যাংক বা ফিন্যান্সিয়াল কর্মকাণ্ডে জড়িত প্রতিষ্ঠানরা এটা ব্যবহার করে এবং এটিই সবথেকে জনপ্রিয় বা বিশ্বস্ত গ্রিন সিগনাল (Green Signal) প্রদান করে।

সাধারণত ৭-১০ দিন সময় লাগে এই সেবা এক্টিভ করতে।

ওয়েবসাইটে এসএসএল (SSL) সার্টিফিকেট এর ব্যবহার:

SSL সার্টিফিকেট ছাড়া কোন ওয়েবসাইটের উপর বিশ্বাস করা সত্যি কষ্টকর, বিশেষ করে যেখানে কাস্টমারদের সংবেদনশীল তথ্য থাকে। যেমন- Login Name, Password, Pin Code,Payments Details (ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর) ইত্যাদি।

তাই আপনার যদি কোন বড় ওয়েবসাইট থাকে, যেখানে এইসব সংবেদনশীল তথ্য আদান প্রদান করা হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে হবে, এতে করে আপনার এবং আপনার কাস্টমারদের তথ্য সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে। সেই সাথে আপনার কাস্টমাররা আপনার সাইটকে পছন্দ করবে।

এছাড়া SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করার ফলে আপনি নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পাবেন-

  •  আপনার সাইটে SSL সার্টিফিকেট থাকলে সহজেই গুগলে র‍্যাঙ্ক পাবেন ।
  •  গুগল SSL সার্টিফিকেট ওয়ালা সাইটগুলোর ক্ষেত্রে র‍্যাঙ্কিং বুস্ট করে।
  • SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করলে আপনার সাইটের প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
  •  SSL সার্টিফিকেট আপনার ভিজিটরের সেনসেটিভ ইনফরমেশন হ্যাকারদের থেকে রক্ষা করবে ।

যেভাবে আপনার ওয়েবসাইটে SSL সার্টিফিকেট ইনস্টল করে ব্যবহার করবেনঃ

সাধারণত কিছু বাংলাদেশি Vendor বিভিন্ন আশ্বাসের সাথে SSL সার্টিফিকেট অফার করে থাকে।

এছাড়া অনেক বিদেশী ভালো ব্র্যান্ড এর SSL সার্টিফিকেট রয়েছে। যেগুলো থেকে আপনি সহজেই কিনে নিয়ে সেটআপ করিয়ে নিতে পারবেন। তবে ভালো  SSL সার্টিফিকেট ক্রয় করার সময় অবশ্যই“Website Security Seal” সহ ক্রয় করবেন কারন এটি আরেকটি দৃশ্যমান নির্দেশক যেটি আপনার ভিজিটরকে ওয়েবসাইট সিকিউরিটি বিষয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।

এছাড়া আপনি নিজে SSL সার্টিফিকেট সেটাপ করতে চাইলে সেটা সিপ্যানেলের (cPanel) মাধ্যমে সেটাপ করতে পারবেন। সিপ্যানেল ছাড়াও আপনি জেডপ্যানেল (ZPane), ভিস্তাসিপি (Vesta Control Panel) বা ওয়েবুজোর (Webuzo) মাধ্যমেও SSL সেটাপ করতে পারবেন।

সিপ্যানেলের মাধ্যমে যেভাবে SSL ইনস্টল করবেন?

1. প্রথমে আপনার সিপ্যানেলে SSL অপশনে যান

2. তারপর “Private Key” সেটাপের প্রয়োজন পড়বে

3.  এখন আপনাকে CSR (Certificate Signing Request) সেটাপ করতে হবে। এখান থেকে আপনি SSL ইস্যু করবেন।

4. এবার আপনার কেনা SSL কাস্টমার প্যানেলে লগইন করুন। এখানে আপনি CSR বের করতে পারবেন।

5.তারপর CSR সাবমিট করলে আপনার ইমেইলে একটি লিঙ্ক যাবে সেটা ভেরিফাই করলেই সব কাজ কমপ্লিট।

6.কখনও কখনও কোড ভেরিফিকেশন চাইতে পারে, সেখেত্রে আপনার মেইলে আপনি কোডটি পাবেন।

7.ভেরিভাই হয়ে গেলে আপনার মেইলে SSL কোড চলে আসবে। তখন কোডটি আপনার cPanel থেকে Install SSL এ গিয়ে বসিয়ে দিলেই চলবে।

আপনার ওয়েব সাইট এখন SSL সার্টিফিকেট “Green Signal” শো করবে।

WWW,HTTP,HTTPS & SSL Certificate  কী? এর কাজ কি? (বিস্তারিত)

তবে একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন। যখন আপনি SSL ইনস্টল করবেন তারপর পর http://অবশ্যই https:// এ রিডাইরেক্ট করে দিবেন। তাহলে কাজ হয়ে যাবে।

বিশ্বস্ত সাইট SSL সার্টিফিকেট কেনার জন্য: আপনি যদি আপনার সাইটের জন্য SSL সার্টিফিকেট কিনতে চান তবে আপনি Namecheap, Godday, Domain.com এ সমস্ত সাইট থেকে কিনতে পারেন।কারন তারা আপনাকে অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে।

পরিশেষেঃ

সাধারনত, SSL সার্টিফিকেট ছাড়া কোন ওয়েবসাইটের উপর বিশ্বাস করা সত্যি কষ্টকর, বিশেষ করে যেখানে কাস্টমারদের সংবেদনশীল তথ্য থাকে। যেমন- Login Name, Password, Pin Code,Payments Details (ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর) ইত্যাদি।

তাই আপনার যদি কোন বড় ওয়েবসাইট থাকে, যেখানে এইসব সংবেদনশীল তথ্য আদান প্রদান করা হয়, তাহলে আমি আপনাকে SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করার জন্য সাজেস্ট করবো, এতে করে আপনার কাস্টমারও আপনার সাইটকে পছন্দ করবে। সেই সাথে আপনার এবং আপনার কাস্টমারদের তথ্য সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে।

WWW কি এবং এর কাজ কি?
WWW,HTTP,HTTPS & SSL Certificate  কী? এর কাজ কি? (বিস্তারিত)

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (সংক্ষিপ্তরূপ দি ওয়েব) হল ইন্টারনেট দিয়ে দর্শনযোগ্য আন্তঃসংযোগকৃত তথ্যাদির একটি ভাণ্ডার। একটি ওয়েব ব্রাউজারের সহায়তা নিয়ে একজন দর্শক ওয়েবপাতা বা ওয়েবপৃষ্ঠা দেখতে পারে এবং সংযোগ বা হাইপারলিঙ্ক ব্যবহার করে নির্দেশনা গ্রহণ ও প্রদান করতে পারে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে যুক্ত হাইপার টেক্সট ডকুমেন্টগুলো নিয়ে কাজ করার প্রক্রিয়া ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিত।

 হাইপার লিংকের সাহায্যে ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে,ওয়েব পৃষ্ঠা দেখা যায়, যা টেক্সট, চিত্র, ভিডিও ও অন্যান্য মাণ্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ হতে পারে। ১৯৮৯ সালের মার্চে ইংরেজ পদার্থবিদ টিম বার্নাস লি, বর্তমানে যিনি ওয়ার্ণ্ড ওয়েব কনসোর্টিয়ামের ডাইরেক্টর, পূর্ববর্তী হাইপারটেক্সট সিস্টেম হতে ধারণা নিয়ে, যে প্রস্তাবনা লেখেন তা হতেই উপত্তি ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েবের।পরবর্তীতে এ কাজে লি'র সাথে যোগ দেন বেলজিয়ান বিজ্ঞানী রবার্ট কাইলিয়াউ। 

এসময় তারা উভয়েই সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সের্নে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯০ এর ডিসেম্বরে তাদের প্রকাশিত এক প্রস্তাবনায় তারা উল্লেখ করেন,‍“ হাইপারটেক্সট্-কে লিংক ও ওয়েব হতে নানবিধ তথ্যের সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে একজন ব্যাবহারকারি তার মর্জিমাফিক ওয়েব পরিভ্রমণ করতে পারবে।”

বর্তমান ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে, অন্যান্য ওয়েব সাইট তৈরি হয়েছিল, সারা বিশ্বব্যাপী, ডোমেইন এর নাম ও এইচটিএমল এর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান স্থাপিত হয়েছিল। 


তখন থেকেই বার্নাস লি ওয়েব স্টান্ডার্ড এর ব্যাপারে তার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন(যেমন, ওয়েব পেই্জ তৈরীতে কোন মার্কআপ ভাষা ব্যবহার করা হবে)। সাম্প্রতিক কালে তিনি আওয়াজ তুলেছেন Semantic ওয়েব এর ব্যাপারে। ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সহজে ব্যবহার যোগ্য ও সাবলীল পক্রিয়ায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সমূহের প্রসার বা বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। আর এভাবেই তারা ইন্টারনেটকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্ববহ ভূমিকা রেখেছেন। অনেক সময় সাধারণত এদের অর্থকে গুলিয়ে ফেলা হয় যদিও ইন্টারনেট কখনই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রতিশব্দ নয়। ওয়েব হল মূলত ইন্টারনেটের উপর ভিত্তিকরে গড়ে ওঠা একটা এপ্লিকেশন মাত্র।

www কিভাবে কাজ করে?

WWW,HTTP,HTTPS & SSL Certificate  কী? এর কাজ কি? (বিস্তারিত)

ওয়েব পৃষ্ঠা দেখার প্রক্রিয়া সাধারণত কোন ব্রাউজারে ইউআরএল টাইপ করা বা কোন পাতা হতে হাইপারলিঙ্ক অনুসরণের মাধ্যমে শুরু হয়ে থাকে। এরপর ওয়েব ব্রাউজার যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে কিছু বার্তা প্রদান শুরু করে। এর ফলশ্রুতিতে পরিশেষে পাতাটি দর্শনযোগ্য হয়ে ওঠে।

প্রথমেই ইউআরএল এর সার্ভার নামের অংশটি আইপি এ্যাড্রেস ধারণ করে। এজন্য এটি একটি বিশ্বজনীন ইণ্টারনেট ডাটাবেস বা তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করে যা ডোমেইন নেম সিস্টেম নামে পরিচিত। এই আইপি ঠিকানাটি ওয়েব সার্ভারে ডাটা প্যাকেট প্রেরণের জন্য জরুরী।

এরপর ব্রাউজার নির্দিষ্ট ঠিকানাটিকে একটি এইচটিটিপির আবেদন জানায় ওয়েব সার্ভারের কাছে। সাধারণ কোন ওয়েব পৃষ্ঠার বেলায়, পাতাটির এইচটিএমএল লেখার জন্য শুরুতে আবেদন জানানো হয়। এরপর ওয়েব ব্রাউজারটি ছবিসহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় ফাইলের জন্য আবেদন পৌছে দেয়।

ওয়েব সার্ভার থেকে আবেদনকৃত ফাইলসমূহ পাবার পর ওয়েব ব্রাউজারটি এইচটিএমএল, সিএসএস ও অন্যান্য ওয়েব ল্যাঙ্গুয়েজ অনুযায়ী পাতাটিকে স্ক্রিনে সাজিয়ে ফেলে। অধিকাংশ ওয়েব পাতাগুলোতে নিজস্ব হাইপারলিঙ্ক থাকে যাতে সংশ্লিষ্ট অন্যন্য পাতা এবং ডাউনলোডসহ অন্যন্য প্রয়োজনীয় লক্ষ্য উল্লেখিত থাকে। এই প্রয়োজনীয় ও পরস্পর সংযুক্ত হাইপারলিঙ্কগুলোর সমুষ্টিই ওয়েব নামে পরিচিত। টিম বার্নার্স-লি সর্বপ্রথম একে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে নামাঙ্কিত করেন।

আমরা সাধ্যমত উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি তাই লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যদের সাথে

শেয়ার করতে ভুলবেন না । এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচেকমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনার কমেন্টের উত্তর দেওয়ার চেস্টা করবো।

Post a Comment

أحدث أقدم