আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের লা-রিবা ক্রেডিট কার্ড।।  La-Riba Islamic Credit Card- La-Riba Islamic Credit Card


আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে ইসলামী শরিয়াভিত্তিক একটি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করে। ব্যাংকটি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ -এ নিবন্ধিত। চেয়ারম্যানঃ জনাব সেলিম রহমান, ব্যাবস্থাপনা পরিচালকঃ ফরমান আর চৌধুরী অফিশিয়াল ওয়েবসাইট। 



শরীয়াহ্ সম্মত কার্ডঃ

সার্ভিস চার্জ ভিত্তিক। বকেয়া টাকার পরিমানের উপর ভিত্তি করে শতকরা হিসাবে বাড়তি টাকা চার্জ করা হয় না। বুঝতে সুবিধার জন্য একটি প্রডাক্ট (লা-রিবা গোল্ড কার্ড) চার্জ এর উদাহরন নিম্নরূপ :


১.ব্যাবহারকারীর কার্ড লিমিট এবং টোটাল আউটস্ট্যান্ডিং ১,০০,০০০ টাকা। উনি মিনিমাম বকেয়া টাকা পেমেন্ট করলেন ৫,০০০…. পরবর্তী মাসে উনার মান্থলী সার্ভিস চার্জ আসবে সর্বমোট 44 টাকা। 


২.ব্যাবহারকারীর কার্ড লিমিট ১,০০,০০০ এবং টোটাল আউটস্ট্যান্ডিং ৫০,০০০ টাকা। উনি মিনিমাম বকেয়া টাকা পেমেন্ট করলেন ২,৫০০…. পরবর্তী মাসে উনার মান্থলী সার্ভিস চার্জ আসবে সর্বমোট ১,১৭০ টাকা। 


অর্থাৎ উনার আউটস্ট্যানডিং এর ভিত্তি করে  কোনো সুদ ধার্য করা হয় না বরং নির্দিস্ট পরিমান সার্ভিস চার্জ নেয়া হয়। প্রাডাক্ট অনুযায়ী সার্ভিস চার্জ পৃথক হয়। সম্পূর্ণ দায় পরিশোধ করলে কোনো সার্ভিস চার্জ নেয়া হয় না।


আরো পড়ুনঃ ইন্সুরেন্স ( Insurance) বা বীমা কি? বাংলাদেশের ইন্সুরেন্স কোম্পানী সমূহের তালিকা।



ডায়নামিক কারেন্সি কার্ডঃ

বিডিটি বা ফরেন কারেন্সির জন্য পৃথক কোনো লিমিট থাকে না। ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশনের জন্য লিমিট কনভার্ট করার প্রয়োজন নেই। 

গ্রাহকের কার্ডে এভেইলেভেল লিমিট থাকলে যে কোনো সময় বিডিটি বা ফরেন কারেন্সিতে ব্যবহার করতে পারবেন। ফরেন কারেন্সি ব্যবহার করার জন্য পাসপোর্ট এ এন্ডোরসমেন্ট করতে হবে। ট্রানজেকশন করার সময়ই বিডিটিতে কনভার্ট হয়। স্ট্যাটমেন্টে বিডিটি তে চার্জ করা হয়। বিডিটি ও ফরেন পার্ট এ পৃথক করে পেমেন্ট করার ঝামেলা নেই। লিমিট কনভার্শনে আর্থিক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ট্রান্সেকশনের দিনের রেট ও পেমেন্টের ডেটে ডলার রেটের পার্থক্যে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। মার্কআপ না থাকায় তুলনামূলক ভালো রেট পাওয়া যায়।


 

এটিএম ক্যাশ উত্তোলন খরচ কমঃ

বিভিন্ন ব্যাংক এর ক্ষেত্রে এটিএম থেকে ক্যাশ উঠালে বিভিন্ন পরিমান ক্যাশএডভান্স ফি বা উইথড্রল ফি নেয়। ২০,০০০ টাকা উত্তলনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাংকের ফি এর ভিন্নতা রয়েছে। এআইবিএল এর ক্ষেত্রে ১৫০ টাকা ও ভ্যাট ২২.৫ টাকা সর্বমোট ১৭২.৫০ টাকা।

১০,০০০ টাকা উঠালেও ফি সেইম। অর্থাৎ উত্তোলিত টাকার পরিমানের উপর ভিত্তি করে ফি চেন্জ হয় না। কার্ড লিমিটের ৫০% ক্যাশ উত্তোলন করা যায়।


এটিএম থেকে উত্তোলিত টাকা ডিউ ডেটে সম্পূর্নই দিয়ে দিলে ক্যাশ এডভান্স ফি ছাড়া বাড়তি টাকা দিতে হয় না।


উদাহরন স্বরুপ কোনো গ্রাহক ২০,০০০ করে (একবারে সর্বচ্চো) ৫ বারে ১,০০,০০০ টাকা উত্তোলন করলো, সেক্ষেত্রে ডিউডেটে সর্বমোট ১,০০,৮৬২.৫০ দিলেই হবে।


ডিউ ডেট হলো স্ট্যাটমেন্ট ডেটে উল্লেখিত পরিশোধের তারিখ। মনে করি গ্রাহকের স্ট্যাটমেন্ট ডেট প্রতি মাসের ১ তারিখ। সেক্ষেত্রে ১৫ দিন পরে (এআইবিএল এর) পরিশোধের তারিখ। 

এখন কোনো গ্রাহক যদি জুলাই মাসের ১ তারিখ টাকা উত্তোলন করেন তাহলে আগস্ট মাসের ১ তারিখের স্ট্যাটমেন্টে তার বকেয়া দেখাবে ১,০০,৮৬২.৫০ টাকা। দিতে হবে আগস্ট এর ১৫ তারিখ এর মধ্যে। গ্রাহক যদি সসম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে দেয় আর বাড়তি কোনো টাকা দিতে হবে না।


লাউঞ্জ সুবিধাঃ

বিদেশ ভ্রমনের সময় প্লাটিনাম কার্ড গ্রাহকগন লাউঞ্জ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। বাংলাদেশে বলাকা লাউঞ্জ এবং বিশ্বব্যাপি সকল দেশে মাস্টারকার্ড এর ‘লাউঞ্জ কি’ এর অন্তর্ভুক্ত লাউঞ্জ সমূহ ব্যবহার করা যাবে। লাউঞ্জ সমূহ খুঁজে পেতে https://airport.mastercard.com/ এই ওয়েব সাইটে এয়ারপোর্ট এর নাম দিয়ে সার্চ করলে লাউন্জ এর নাম পাওয়া যাবে।

এক বছরে ৬ বার লাউন্জ ফ্রি তে ব্যবহার করা যাবে। মনে করি, কোনো গ্রাহক দুইজন অতিথি নিয়ে লাউন্জ সুবিধা গ্রহন করেছে, সেক্ষেত্রে উনার ৩ বার লাউন্জ ব্যবহার হয়েছে  কাউন্ট করা হবে।

ডমেস্টিক ভ্রমনের ক্ষেত্রে আমাদের এখনো কোনো লাউন্জ সুবিধা নেই।


এমএফএস/ওয়ালেট এ ফান্ড ট্রান্সফারে চার্জ নেইঃ

বিকাশ বা নগদে ফান্ড ট্রান্সফারে কোনো চার্জ নেই। অন্য যে কোনো ওয়ালেটে ফান্ড ট্রান্সফারে এআইবিএল কোনো চার্জ করে না। তবে যেই ব্যাংকের এমএফএস বা ওয়ালেট তাদের কোনো চার্জ আছে কিনা তা আগেই জেনে নেয়া প্রয়োজন ।


ইস্যুয়েন্স ফি নেইঃ

কার্ড ইস্যুয়িং ফি নেই। সিআইবি, সিপিভি, প্রসেসিং ফি ( যে নামেই অভিহিত করা হোক) নেই। প্রথম বছর যে কোনো পরিমান (অনলাইন বা পজে) ১৮ টি ট্রানজেকশন করলে কার্ড রিনিউআল ফি মওকুফ হয়। ১৮ টি ট্রানজেকশন পূর্ণ হলে ফি মওকুফ এর জন্য গ্রাহক কে আবেদন করতে হয় না। সিস্টেম অটোমেটিক রিনিউআল ফি ওয়েব করে।


নিরাপত্তাঃ

টু ফ্যাক্টর অথেনটিক সিকিউরড অনলাইন ট্রানজেকশন । লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল অনলাইন ট্রানজেকশন  এসএমএস ও মেইলে ওটিপি প্রদান করা হয়। ইএমভি চীপ কার্ড। বিদেশ ভ্রমনের সময় শুধুমাত্র নির্দিষ্ট দেশে ট্রানজেকশন ওপেন করা হয়/যায় (গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী)।


ফ্রী সাপ্লিম্যানটরী কার্ডঃ

প্রথম সাপ্লিম্যানটরী কার্ড সম্পূর্ণ ফ্রী। ১৮ টি ট্রানজেকশন  করার বাধ্যবাধকতা নেই।


খরচ/ফি কমঃ

এসএমএস এলার্ট, একসেস্ লিমিট চার্জ, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম চার্জ নেই।


তথ্যবহুল স্ট্যাটমেন্টঃ

স্ট্যাটমেন্টে কারেন্সি কনভার্শন রেট উল্লেখ থাকে। লাউন্জ ব্যবহার এর তথ্য অর্থাৎ গ্রাহক কতোবার লাউন্জ ব্যবহার করেছেন এবং ফ্রী এভেইলেভেল কতোবার তা জানতে পারবেন।এন্ডোরসমেন্ট কতো ডলার করা হয়েছে এবং কতো এভেইলেভেল আছে তা জানা যায়। ব্যাংক বা কল সেন্টারে ফোন দিয়ে জানার প্রয়োজন হয় না।



ইএমআই ও ডিসকাউন্ট পার্টনারঃ

বর্তমানে সুনাম অর্জনকারী সকল ব্র্যান্ড শপ আমাদের সাথে ইএমআই সুবিধার জন্য চুক্তিবদ্ধ। ইএমআই ও ডিসকাউন্ট পার্টনার তালিকা https://www.al-arafahbank.com এই ওয়েব সাইটে দেখা যাবে। আমরাও গ্রাহকদের এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে থাকি। তবে সারা বছর ব্যাপি রেস্টুরেন্ট সমূহে বোগো অফার এখনো নেই।



এ্যাপস নেইঃ

এখনো কার্ড এর জন্য পৃথক এ্যাপস নেই।


কার্ড বিপননে নতুনঃ

আমরা স্বীকার করে নিচ্ছি আমরা অনেক পরে কার্ড মার্কেটিং করছি। বর্তমানে আমাদের একটি স্বয়ং সম্পূর্ন সেলস টিম কাজ করছে। যে কোনো ধরনের তথ্যের জন্য সরাসরি কার্ড বিভাগে যোগাযোগ করার অনুরোধ থাকলো। সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা সর্বোচ্চ সচেস্ট থাকবো।


কার্ডটি নিতে যোগাযোগঃ

Tel:01710060594 

Mohidul alam

Card Division 

Al Arafah Islami Bank Ltd


 আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক হেল্পলাইনঃ

Al-Arafah Islami Bank Limited.



Post a Comment

Previous Post Next Post