আসসালামু অলাইকুম, গত পর্বে আমি দেখিয়েছি কিভাবে ব্লগারে একটি ওয়েবসাইট বানাতে হয়।

ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

এই পর্বে  ব্লগার ড্যাশবোর্ড (Blogger Dashboard) পরিচিতি ঃ

আমরা যারা ব্লগার ডটকম থেকে ফ্রিতে ব্লগ খুলে নিয়মিত লেখালেখি করতে চাই তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হচ্ছে ব্লগার ড্যাশবোর্ড পরিচিতি বা ব্লগার ড্যাশবোর্ড সম্পর্কে জানা।

 Blogger Dashboard সম্পর্কে যদি আপনার জানা থাকে তবে আপনার কাজ করতে সুবিধা হবে। কিভাবে পোস্ট লিখবেন, কিভাবে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করবেন, কিভাবে ব্লগের সেটিং করবেন-এরকম নানা বিষয়ে যদি আপনার জানা থাকে তবে আপনি সহজেই ব্লগার ডটকম এ কাজ করেও একজন ভালো ব্লগার হতে পারবেন।

 ব্লগার ডটকম এর ড্যাশবোর্ড কিন্তু একটু ব্যতিক্রম। তাই নতুন অবস্থায় কাজ করতে নানান ঝামেলায় পড়তে হয়। আজ আমাদের বিষয় হচ্ছে ব্লগার ড্যাশবোর্ড সম্পর্কে জানা। প্রথমে আপনার ব্লগার একাউন্টে জিমেইল দিয়ে লগইন করুন। তারপর নিচের পেজটি দেখতে পাবেন।



View Blog: এখানে ক্লিক করে সরাসরি আপনার ব্লগে ভিজিট করতে পারবেন। 
Posts:
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

আপনি এ যাবত যতটি পোষ্ট করেছেন তার সব তালিকা এখানে তারিখ অনুযায়ী দেখতে পাবেন। কোন পুরাতন পোষ্ট ডিলিট কিংবা কোন পরিবর্তন করতে চাইলে এখান থেকে করতে পারবেন।
 

New post : এখান থেকে নতুুুন পোস্ট  করতে পারবেন।
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

উপরে চিত্রটি লক্ষন করলে দেখা যাবে প্রথমেই রয়েছে পোস্ট টাইটেল [ব্লগার পোস্ট পরিচিতি.. For example ] তারপর পর্যায়ক্রমে ১ নং টি পোস্ট লিখার ধরন আপনি HTML অথবা Composite ভিউ এ পোস্ট লিখতে পারবেন।২, ৩,৪ নং গুলা হচ্ছে ফন্ট টাইপ, ফন্ট সাইজ,প্যারাগ্রাফ টাইপ।


৫ নাম্বার বক্স টি হচ্ছে বোল্ড,ইটালিক,আন্ডারলাইন, ফন্ট এবং background কালার। ৬ নাম্বারটি হচ্চে লিংক,ফটো,ভিডিও এবং ইমোজি যোগ করার অপশন। ৭ নাম্বারটি হচ্ছে লেখাকে সুন্দর করে সাজানোর জন্য মানে লেখানে , ডানে , বামে & মাঝখানে আনার জন্য।৮ নাম্বার টি হচ্ছে পোস্ট প্রিভিউ মানে আপনি যে পোস্ট টি লিখলেন সেটি পাবলিস করার পর দেখতে কেমন হবে চাইলে প্রিভিউ করে নিতে পারেন। ৯ নাম্বার টি তো সবাই যানেন এটির মাধ্যমেই পোস্ট পাবলিস করা হয়।এখন বাকি রইল ৯ নং post setting :

  • Labels : এটি পোস্টর লেবেল সোজা কথায় ক্যাটাগরি।
  • Published on : এটি পোস্ট পাবলিসের তারিখ, অটোমেটিক দেওয়া থাকে আবার চাইলে ইডিট করে নিতে পারবেন।
  • Permalink : এটি পোস্টের এড্রেস /URL,  অটোমেটিক সেট হয় আবার চাইলে ইচ্ছামত সেট করে নিতে পারবেন।
  • Location : আপনার অবস্থান/ঠিকানা।
  • Search description : এখানে পোস্টের সাথে সম্পকৃত keyword গুলো লিখবেন।


Status : এখান থেকে আপনার ব্লগের ট্রাফিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

এটি প্রায় Overview অপশন এর মত। তবে এখান থেকে কোন পোষ্টে কতটি View হলো।
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

কোন ধরনের ব্রাউজার ব্যবহার করে আপনার ব্লগে ভিজিটররা আসলো।


কোন কোন দেশ হতে ভিজিটররা আপনার ব্লগ ভিজিট করলো। 

 কোন Operating System ব্যবহার করে আপনার ব্লগে ভিজিট হলো।
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ


 কোন রেফারেন্স থেকে কতটি ভিউ হলো ইত্যাদিসহ আরও অনেক বিস্তারিত জানতে পারবেন।

ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

Comments: 

আপনার ব্লগের কোন পোষ্টে কতটি কমেন্ট করা হলো, কোন কমেন্ট ডিলিট করা, কমেন্ট অনুমোদন দেওয়া এবং স্প্যাম কমেন্ট ডিলিট করার কাজে ব্যবহৃত হয়।

Earning: আপনার ব্লগটি যদি ভালমানের হয় এবং প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে, তাহলে Google Adsense Approved করে আপনার ব্লগে Advertisement ব্যবহার করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে এটি এখনো বাংলা ভাষা সাপোর্ট করছে না। Adsense Approved করতে হলে আপনার ব্লগটি অবশ্যই English হতে হবে। এ নিয়ে আমরা পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

Pages: এখানে সাধারনত ব্লগ সম্পর্কে বিভিন্ন সাফাই গাওয়া হয়। যেমন ধরুন-আপনার ব্লগ সম্পর্কে, আপনার নিজের সম্পর্কে, ব্লগের পলিসি, কনটাক্ট পেজ ইত্যাদি টাইপের বিভিন্ন পেজ তৈরী করা হয়।

Layout: ব্লগার টেমপ্লেট এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে এই Layout.

এটি ব্যবহার করে আপনার ব্লগে বিভিন্ন ধরনের Gadget ব্যবহার করতে পারবেন। ব্লগ সাজানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Theme: এটি হচ্ছে ব্লগের প্রাণ। এটি ছাড়া ব্লগের কথা চিন্তাই করা যায় না।
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

উক্ত দেখানো জায়গা ক্লিক করলে নিচের মত আরো কিছু option পাবেন। 
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

এখান থেকে Edit করে আপনার ব্লগের সম্পূর্ণ কাজ পরিচালনা করতে পারবেন। আপনার ব্লগে যত ধরনের ডিজাইন এবং পরিবর্তন করা দরকার তার সব কাজ এখানে করতে হবে।

Settings: এই সহজ কথাটি আমরা সবাই বুঝি।
কাজেই বেশ কিছু বলতে চাচ্ছি না। এখান থেকে ব্লগের নাম, ব্লগের বিবরণ এবং ব্লগ এড্রেস পরিবর্তনসহ আরও অনেক কাজ করতে পারবন নিচে পর্যায়ক্রমে দেখানো হলো ঃ
Basic setting: বেসিক সেটিং আন্ডারে আরো কতগুলো অপশন রয়েছে সেগুলো হলো ঃ
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

  •  Title : এখানে আপনার ব্লগের নাম।
  • Description : এখানে ব্লগ সম্পর্কে বিবরন দিন।
  • Blog Languages :  এখান থেকে ব্লগের ভাষা পরিবর্তন করতে পারবেন।
  • Adult content : আপনার সাইটে এডাল্ট কনটেন্ট/ ১৮+ কিছু থাকলে এই অপশনটি অন করে দিতে পারেন যাতে করে অপ্রাপ্তবয়স্করা যখন আপনার সাইটে প্রবেশ করবে তখন তাদের সতর্ক  করা হবে।
  • Google analytics property ID: আপনার সাইটে যদি এডসেন্স চালু থাকে তাহলে এখানে এডসেন্সেনের আইডি নাম্বার টি দিতে হয়।
  • Favicon: ফেবিকন কি সেটা নিচের চিত্রে দেখে নিন।
    ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

privacy  & Publishings:
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

visible to search Engins:এটা অন করলে Google search engine আপনার ওয়েবসাইট টি খুজে পাবে।

Publishing :
  • Blog Address : এটি আপনার ব্লগের এড্রেস।
  • Custom Domains : এখানে আপনি পেইড ডোমেইন লাগাতে পারবেন।
  • Redirect Domain : যদি পেইড ডোমেইন ক্রয় করেন তাহলে এটা চালু করে দিন।
HTTPS & permission  :আপনি যখন পেইড ডোমেইন কিনবেন সাথে SSL Certificate পাবেন তখন http availability & https redirect  অন করে দিন।
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

Permission :
  • Blog admin & author : এখানে ব্লগের এডমিন & অথর লিস্ট দেখতে পারবেন।
  • pending author invite: আপনি অথর হিসাবে কাওকে invite করেছে কিন্তু সে এখনো রিকুয়েষ্ট accept  করেনি, পেন্ডিং আছে তাদের তালিকা দেখতে পাবেন।
  • Invite More author : এখান থেকে অথর হিসাবে কাওকে invite করতে পারবেন। 

Posts:
  • Max posts shown on main page : কত দিনের পোস্ট আপনি মেইন পেজে দেখাতে চান সেটি দিন।
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ


Comments  :
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

  • Comment Location : Embedded
  • Who can comment: এখানে কারা আপনার পোস্ট এ কমেন্ট করতে পারবে সেটি উল্লেখ করে দিতে পারবেন।
  • Comment moderation : আপনি যদি চান যে কেও যাতে অবাঞ্চিত কমেন্ট বন্ধ করতে চান তাহলে এটি অন রাখুন, এটি অন করলে কেও কমেন্ট করলেও সেটি পাবলিস হবেনা যতক্ষন আপনি পাবলিস না করবেন।
  • Reader Comment captcha: এটি অন করলে কেও যখন কমেন্ট করতে যাবে তখন ক্যাপচা ভেরিফাই করতে বলবে।

Formatting: 
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

 
time zone এটি location অনুুযায়ী automatically সেট হয়ে যায়,চাইলে ফরমেট চেঞ্জ করে নিতে পা
রবেন।

Meta Tag: এটি এসইওর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে Search description চালু করে নিচের বক্স এ আপনার ব্লগের মেটা ট্যাগ গুলা 
লিখবেন।
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ


Crawlers and indexing : এটিও এসইওর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ custom robots.txt অন করে নিচের কোড গুলা বসিয়ে দিন।
ব্লগার ড্যাশবোর্ড ও সেটিং পরিচিতি সম্পূর্ণ বিস্তারিত সহ

User-agent: *
Disallow: /search
Disallow:/category/ 
Disallow:/tag/
Allow: /
Sitemap: https://www.xxxxx.com/sitemap.xml

বিদ্রঃ xxxxx এর জায়গা আপনার সাইটের ডোমেইন এড্রেস দিন।



Monetisation:এটি  Google adsense এর সাথে সম্পর্কিত। 

মনিটাইজেশন হলো এমন একটি পক্রিয়া যার মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে আয় করা সম্ভব। Monetization শব্দটি এসেছে Monetize থেকে যার অর্থ হচ্ছে কোন এসেট বা বিজনেস থেকে অর্থ উপার্জন করা। মনিটাইজেশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি লিগ্যাল চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওয়েবসাইট বা ব্লগের মনিটাইজেশন এর জন্য ভালো ট্রাফিক থাকতে হবে। এককথায় বলতে গেলে, ওয়েবপেইজ, ব্লগে বা ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে যে উপায়ে আরনিং করতে পারা যায় সেই উপায়কেই বলা হয় মনিটাইজেশন।

মনিটাইজেশন হলো এমন একটি পক্রিয়া যার মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে আয় করা সম্ভব। Monetization শব্দটি এসেছে Monetize থেকে যার অর্থ হচ্ছে কোন এসেট বা বিজনেস থেকে অর্থ উপার্জন করা। মনিটাইজেশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি লিগ্যাল চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওয়েবসাইট বা ব্লগের মনিটাইজেশন এর জন্য ভালো ট্রাফিক থাকতে হবে।এককথায় বলতে গেলে, ওয়েবপেইজ, ব্লগে বা ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে যে উপায়ে আরনিং করতে পারা যায় সেই উপায়কেই বলা হয় মনিটাইজেশন।


Reading Lists: খানে আপনি ব্লগগুলো সাবস্ক্রাইব করবেন সেগুলোর পোষ্ট শো করবে।
মনিটাইজেশন হলো এমন একটি পক্রিয়া যার মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে আয় করা সম্ভব। Monetization শব্দটি এসেছে Monetize থেকে যার অর্থ হচ্ছে কোন এসেট বা বিজনেস থেকে অর্থ উপার্জন করা। মনিটাইজেশন হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি লিগ্যাল চুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওয়েবসাইট বা ব্লগের মনিটাইজেশন এর জন্য ভালো ট্রাফিক থাকতে হবে। এককথায় বলতে গেলে, ওয়েবপেইজ, ব্লগে বা ইউটিউব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে যে উপায়ে আরনিং করতে পারা যায় সেই উপায়কেই বলা হয় মনিটাইজেশন।


কোন ব্লগ সাবস্ক্রাব করে না থাকলে গুগল এর বিভিন্ন ব্লগে পোষ্ট শো করবে।
আজ এখানেই শেষ করছি, কোন সমস্যা হলে কমেন্টে জানাবেন।

Next Part Coming soon - On page SEO

Post a Comment

Previous Post Next Post