জুনকো ফুরুতার হত্যাকাণ্ড - Murder Of Junko Furuta


আজ আমি আপনাদের সাতে সেয়ার করতে যাচ্ছি জুনকো ফুরুতার নির্মম হত্যাকান্ডের কথা যা দুনিয়ার সব পাশবিকতাকেও হার মানায়,আত্মহত্যার কথা শুনলেই একটা নাম মাথায় ঘুরে - জুনকো ফুরুতা। যদিও জুনকোর সাথে আত্মহত্যার কোন সম্পর্ক ছিল না।


জুনকো মিসাটোর সাইতামা প্রিফ্যাকচার এর ইয়াশিও-মিনামি হাই স্কুলের গ্রেড ১১ এর ছাত্রী।

১৭ বছর বয়সী জাপানিজ মেয়ে জুনকো ২৫ নভেম্বর, ১৯৮৮ সালে স্কুল শেষে ঘরে ফিরছিলো কিন্তু সে আর কখনোই ঘরে ফিরতে পারেনি।


জো কামিসাকু এবং তার ৩ সাথি জুনকোকে কিডন্যাপ করে। তারপর একটি ঘরে তাকে ৪৪ দিন বন্দী করে রাখা হয়। আরো ভাল হয় একে "44 days of hell" বলা হলে।




Murder of Junko Furuta

নামজুনকো ফুরুতা-Junko Furuta
জন্ম১৮ই জানুয়ারি ১৯৭১
জন্ম স্থানমিসাতো, সাইতামা(শহর), জাপান
মৃত্য৪ জানুয়ারি ১৯৮৯ (বয়স ১৭) আদাচি, টোকিও, জাপান
বয়স১৭ বছর ৩ মাস ২৫ দিন
মৃত্যর কারণমানষিক আঘাত
মৃত দেহ আবিষ্কারকোটো শহর, টোকিও, জাপান
পেশাউচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থী
পরিচিতির কারণনির্যাতন এবং হত্যার শিকার
হত্যাকারীহিরোশি মিয়ানো, জো ওগুরা, শিনজি মিনাতো,ইয়াসুশি ওয়াতানাবে



রেপিস্টরা জুনকোর ক্লাসমেট ছিলো। শুধু মাত্র রিভেঞ্জ নেয়ার জন্যই তাকে আটকে রাখা হয়। কারণ জুনকোর না করেছিল ছেলেটির সাথে রিলেশনসীপে যাওয়ার জন্য।


জুনকো ফুরুতার হত্যাকাণ্ড - Murder Of Junko Furuta

১৯৮৮ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৮৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ দিনেরও বেশি সময় ধরে এই নির্যাতনটি চালিয়েছিল মূলত ৪ জন কিশোর- হিরোশি মিয়ানো, জো ওগুরা, শিনজি মিনাতো এবং ইয়াসুশি ওয়াতানাবে।



১ম দিন -২৫ নভেম্বরঃ তাকে ধর্ষণ করা হয়, স্ট্রিপ ড্যান্স করানো হয়। লাইটার দিয়ে তার চোখ, নাক, কান, ভ্যাজাইনা জ্বালানো হয়। গরম লোহা তার ভ্যাজাইনাতে প্রবেশ করানো হয়। তাকে কিচ্ছু খেতে দেওয়া হয়না। পরে জোর করে তেলাপোকা আর প্রস্রাব খাওয়ানো হয়।


১১তম দিন -১ ডিসেম্বরঃ তাকে বেধরক পেটানো হয়, তার মুখ কনক্রিটের ফ্লোরের উপর রেখে তার উপর লাফানো হয়। 


সিলিং এর সাথে ঝুলিয়ে তার মুখ থেকে রক্ত বের না হওয়া পর্যন্ত তাকে পাঞ্চ করা হয়। তার নাকে এত রক্ত জমে গিয়েছিলো যে সে শুধু মুখ দিয়ে নিশ্বাস নিতে পারতো। 


পানি খেয়ে সে বমি করে দেয়,কারণ তার পরিপাক ক্রিয়া একদম নষ্ট হতে গিয়েছিলো। সিগারেট দিয়ে তার হাত পোড়ানো হয়। কিছু দাহ্য লিকুয়িড তার হাতে পায়ে ঢেলে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এমন আরো অনেক কিছুই যা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে না।


২০তম দিন -১০ ডিসেম্বরঃ ব্যাম্বু স্টিক দিয়ে তাকে মারা হয়, পা জ্বলে যাওয়ার কারণে সে হাঁটতে পুরোপুরি অক্ষম।


 ভারী বস্তু দিয়ে হাত ভেঙে দেয়া হয় আর নখ উপড়ে দেয়। গল্ফ স্টিক দিয়ে পেটানো হয়। প্রাইভেট পার্টে সিগারেট জ্বালিয়ে ঢুকিয়ে দেয়। তার নিজের ইউরিন তাকেই খেতে দেয়। আবার লোহার রড দিয়ে পেটায়। চিকেন গ্রিল করার রড তার প্রাইভেট পার্টে প্রবেশ করায়। সে পালানোর চেষ্টা করলে আবার তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এই যাত্রায় সে বেঁচে যায়।



৩০ তম দিন - ২০ ডিসেম্বরঃ তার মুখে ওরা গরম মোম ঢেলে দেয়। চোখের পাতা লাইটার দিয়ে জ্বালায়। নিপল কেটে দেয়া হয়। গরম বাল্ব তার ভ্যাজাইনাতে প্রবেশ করায়। কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্রেইনের সাইজ কমে যায় এর ফলে।



৪০ তম দিন -৩০ ডিসেম্বরঃ জুনকো কিডন্যাপারদের কাছে মৃত্যুর ভিক্ষা করে।


৪৪ তম দিন -৪ জানুয়ারিঃ জুনকোকে আবার লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। আবার তার পুরো শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় দুই ঘন্টা চলে এই টর্চার। এই ৪৪ দিনে তাকে ৪০০ বারের বেশি ধর্ষন করা হয়। 


জুনকো ফুরুতার হত্যাকাণ্ড - Murder Of Junko Furuta



১৭ বছর বয়সী জুনকো ফুরুতা তীব্র ব্যাথা, কষ্ট আর প্রচণ্ড একাকিত্ব নিয়ে ৪ জানুয়ারি, ১৯৮৯  মারা যায়।



এরপর চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ের ভিতর ৫ ই জানুয়ারী ১৯৮৯ সালে, হত্যাকারীরা জুনকোর মৃতদেহ কনক্রিটের ড্রামে ২০৮ লিটার কনক্রিটের মাঝে চাপা দিয়ে রেখেছিলো। 


জুনকো ফুরুতার হত্যাকাণ্ড - Murder Of Junko Furuta



এই কারণে তার খুনের কেসের নাম ছিল-‘Concrete-encased high school girl murder case’।




এই মৃত্যুর কাছে আমার পৃথিবীর যাবতীয় মৃত্যুকে খুব ছোট মনে হয়। আমরা ছোট খাটো ব্যাপারেই ডিপ্রেসড হয়ে পড়ি। তুচ্ছ ব্যাপার নিয়ে আত্মহত্যা করে ফেলতে একটুও দ্বিধাবোধ করি না।


 জুনকোও নিজের মৃত্যু চেয়েছিলো  কিন্তু তার ব্যাথার কাছে আজকের তরুণীর ব্যাথাটা নিতান্ত ছাইপাঁশ।


আরো একটা কথা না বললেই নয়, কোন মেয়ে প্রপোজ একসেপ্ট না করে না মানে এই না যে তাকে ডিসর্টাব করতে হবে। হতে পারে আপনি প্রাইম মিনিস্টারের ছেলে হোন না কেন। মেয়ে প্রপোজ একসেপ্ট না তার মানে তার অহংকার বেশি। মেয়ে প্রপোজ একসেপ্ট করলে তাহলে তার চরিত্রে সমস্যা আছে। মেয়েরা যাবে তো যাবে কোথায়?


বিঃদ্রঃ সবাই এক নয় কিছু মানুষ আছে যারা মেয়েদের যথেষ্ট সম্মান করে।



Post a Comment

Previous Post Next Post