মোবাইল ফোন হ্যাকিং কি,  কারণ এবং তার প্রতিরোধ


মোবাইল ফোন হ্যাকিং কি?মোবাইল ফোন হ্যাকিং হলো কোনও সফ্টওয়্যার, ম্যালওয়্যার, ফিসিং বা অন্য কোন উপায়ে অবৈধভাবে কারো ফোনে অনুপ্রবেশ করে সেই ফোনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া।ফোন হ্যাক হয়ে যাওয়ার পর হ্যাকার ফোনটি দিয়ে যা খুশি তা-ই করতে পারে। কোনো ফাইল, ছবি, অডিও, ভয়েসকল, টেক্সট মেসেজ সবকিছুই হ্যাকার চুরি করে নিতে পারে ভিকটিমের ফোন থেকে।বিভিন্ন কারনে মোবাইল ফোন হ্যাক হতে পারে। যেমন ক্ষতিকারক অ্যাপ, ফিশিং অ্যাটাক, ট্রোজান, RAT, ইমেইল অ্যাটাচমেন্ট, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি ।বর্তমানে যুগে ইন্টারনেট বিপ্লবের পাশাপাশি হ্যাকিং এর পরিমানো বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ আমরা মোবাইল ফোন হ্যাকিং এবং এটি প্রতিরোধে কি করা উচিত এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।

কিভাবে মোবাইল ফোন হ্যাক হয়?
মোবাইল ফোন হ্যাকিং এর অনেক কারণ রয়েছে তার মধ্যো বর্তমানে ঘটে যাওয়া কারণগুলো তুলে ধরা হলোঃ



স্প্যাম লিংকঃ
স্প্যাম লিঙ্কের মাধ্যমে ফোন হ্যাক করা খুবই সহজ কাজ । এটি করার জন্য সাধারণত মেসেজ, ইমেইল বা সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম (যেমন ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ ইত্যাদি) ব্যবহার করা হয় । এতে ভিকটিমকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয় , যা সাধারণত সংক্ষিপ্ত URL বা শর্ট ইউআরএল আকারে পাঠানো হয় । তাই ভিকটিম বুঝতে পারে না যে সেই লিঙ্কের পেছনে আসলে কী আছে ? তাই ভিকটিম যখন সেই লিঙ্কে ক্লিক করে তখন কিছু সংক্রমিত ফাইল বা অ্যাপ অটোমেটিক তার মোবাইলে ডাউনলোড হয়ে যায় । যার মাধ্যমে ফোনের সিস্টেম হ্যাক করা হয় ।

  

ক্ষতিকর আপ্লিকেশনঃ

কোনও সাধু তৈরি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ফোনের ডেটা স্পষ্ট করে হ্যাক করা সম্ভব। যেমন, কোনও স্পয়ামিং অ্যাপ্লিকেশন, ক্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন, থেকে ফোনের ডেটা স্পষ্ট করে নিতে পারে অথবা ফোনের সংযোগ বন্ধ করে নিতে পারে। সেখানে সম্পূর্ণ ফোনের ডেটা স্পষ্ট করে নেওয়া বা স্প্যাম করে নেওয়া সম্ভব হতে পারে। বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার এবং ক্ষতিকারক কোডগুলি এই অ্যাপগুলির ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়, যা পরবর্তীতে ভিক্টিমের ফোন দখল করে নেয় । আর ফোন থেকে ডাটা কালেক্ট করে হ্যাকারের কাছে পাঠায় । তবে ভিকটিম এই বিষয়টি বুঝতেও পারে না । RAT , ট্রোজান হর্স এবং Ransomware হল একই ধরনের ম্যালওয়্যার ।



ফিসিংঃ
এটা অনেকটা ফাদের মত,লোভ দেখিয়ে  তথ্য চুরি করা।
এখনে ভিক্টিমকে একটি লিংক দেওয়া হয় যেখানে ক্লিক করলে হুবহু ফেসবুক  টুইটার বা ইমেল এর মত লগিন পেজ দেখতে পাওয়া যেটি আসলে নকল বা ফেইক, যেখানে লগিন করলেই পাসওয়ার্ড চলে যায় ভিক্টিমের কাছে।


মানুষ সহজেই লগিন করতে চাইবেনা তাই হ্যাকার বিভিন্ন অফারের লোভ দেখিয়ে ভিক্টিমকে এখানে নিয়ে আসে।
ভিকটিমকে একটি লিঙ্ক পাঠানো হয় এবং সেই লিঙ্কের সাথে একটি মেসেজ থাকে । এই বার্তায় ভিকটিমকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রলুব্ধ করা হয় । যেমন আইফোন, গাড়ি, নগদ টাকা পুরস্কার বা চাকরির লোভ । 



পপআপ মেসেজঃ

 লক্ষ করে দেখবেন ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার সময়, আপনারা বিভিন্ন ধরনের পপআপ মেসেজ দেখতে পাবেন । এর মধ্যো কিছু কিছু পপআপ আছে যেগুলো হঠাৎ মাঝে মাঝে দেখা দেয় এবং সেখানে বলা থাকে যে আপনার ফোন বিপদে পড়েছে অথবা আপনার ফোনে একটি বিপজ্জনক ভাইরাস পাওয়া গেছে । তাই দ্রুত এই অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার ফোনটি এই অ্যাপের মাধ্যমে স্ক্যান করুন । নইলে আপনার ফোন হ্যাক হয়ে যাবে । 

এইরকম মেসেজ দেখে অনেক ব্যবহারকারী, বিশেষ করে নতুন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সেই ক্ষতিকারক অ্যাপটি তাদের ফোনে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে এবং নিজের হাতে তার ফোন হ্যাকারের কাছে তুলে দেয় ।



পাসওয়ার্ড ক্র্যাকিং: এটা হচ্ছে কোনও স্বয়ংক্রিয় সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ফোনের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করা। এই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তি ফোনের পাসওয়ার্ড সম্পাদন করতে পারে অথবা পাসওয়ার্ড প্রবেশ করতে পারে।


সিস্টেম হ্যাক: এটা হচ্ছে কোনও স্বয়ংক্রিয় সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ফোনের সিস্টেম হাক করা। এই সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তি ফোনের সিস্টেম সেটিংস সম্পাদন করতে পারে।





মোবাইল হ্যাক প্রতিরোধে করণীয়:

  1. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন: শশক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখুন এবং নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
  2. সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন আপডেট করুন: সফ্টওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন আপডেট করে ফোনের সুরক্ষা বৃদ্ধি করুন।
  3. সব সময় শুধুমাত্র অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর (যেমন – প্লে স্টোর) থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন । কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপ স্টোর বা ওয়েবসাইট থেকে কখনোই কোনো ধরনের অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না ।
  4. ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সময় কখনই পপআপ এনাবল করবেন না ৷ আর পপআপ এড ব্লক করে রাখলে বেশী ভালো হবে । এর জন্য আপনি ব্রাউজারের সেটিংস অপশনে গিয়ে পপআপ ব্লক করে দিন ।
  5. কখনই আপনার ফোনে কোন ক্র্যাকড অ্যাপস এবং গেমস ডাউনলোড বা ইন্সটল করবেন না । কারণ সিকিউরিটির দিক থেকে এগুলো খুবই বিপজ্জনক। তাই সবসময় অরিজিনাল অ্যাপস স্টোর থেকে অ্যাপস ডাউনলোড করে ব্যবহার করুন।
  6. কোনো অ্যাপ যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিষয়ের পারমিশন চায়, যে বিষয়গুলো সেই অ্যাপ রান করার জন্য প্রয়োজন নেই । সেই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন ।
  7. গাড়ি, বাড়ি, লটারি এবং নগদ টাকা পুরস্কার দেবে এইরকম দাবি করা বিভ্রান্তিকর বার্তা থেকে সর্বদা দূরে থাকুন ।
  8. যদিও ফোন রুট করার অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে । কিন্তু সেই সাথে অসুবিধার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে । সেজন্য বিনা কারণে আপনার ফোন রুট না করাই ভাল ।
  9. যখনই আপনার কোন বন্ধু ফোন চাইবে তখন তাকে আপনার কাছ থেকে দূরে যেতে দেবেন না । যতক্ষণ তিনি আপনার ফোন ব্যবহার করবে ততক্ষণ তাকে আপনার চোখের সামনে রাখার চেষ্টা করুন ।
  10. এন্টি-ভাইরাস সফ্টওয়্যার  ব্যবহার করুন : ব্যবহার করুন এন্টি-ভাইরাস সফ্টওয়্যার ফোনের সুরক্ষা বাড়ানোর জন্য।আপনি যদি অ্যান্টিভাইরাস ইউজ করতে চান, তাহলে একটি ভালো পেইড অ্যান্টিভাইরাস ইউজ করুন । কারণ ফ্রি এন্টিভাইরাস মূলত আপনার কোন কাজে আসবে না ।



কিভাবে বুঝবেন আপনার ফোনটি হ্যাক হয়েছেঃ

অ্যাপ কাজ করছে নাঃ
নতুন কোন ফাইল বা অ্যাপ ডাউনলোড দিয়ে ইন্সটল করার পর যদি দেখেন ফোনের পুরাতন কিছু অ্যাপ আগের মত কাজ করছে না তাহলে বুঝবেন আপনি malware দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরাতন কিছু অ্যাপ চালু করতে গেলে হ্যাং হয়ে যেতে পারে।

ফোন নিজে থেকেই অফ / অন , রিস্টার্ট , অথবা অ্যাপ ওপেনঃ
যদি কখনো দেখেন আপনার ফোনটি নিজে থেকেই অফ / অন , রিস্টার্ট , অথবা অ্যাপ ওপেন করছে তাহলে ভাববেন না যে আপনার ফোনকে ভুতে ধরেছে। এটা একটা ক্লিয়ার চিহ্ন যে আপনি হ্যাকিং এর শিকার।


দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছেঃ
আপনার মোবাইলের ব্যাটারি পাওয়ার যদি হঠাৎ করেই খুব দ্রুত শেষ হতে থাকে তাহলে এটাও একটা কারণ হতে পারে হ্যাকিং এর। কোন উপায়ে যদি আপনার মোবাইলে কোন স্পাইওয়্যার টাইপের অ্যাপ ঢুকে যায় আর তা যদি খুব ভারী মানের হয় তাহলে বেশি বেশি তথ্য সেন্ড করার জন্য বেশি পাওয়ার অপচয় করবে। এসব অ্যাপ সাধারণত ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করে তাই আপেক্ষিক দৃষ্টিতে কিছুই দেখতে পাবেন না। পাওয়ার অপশনে গিয়ে দেখতে পারেন আপনার পরিচিত কোন অ্যাপ কেমন পাওয়ার ব্যবহার করছে।


কোন কিছু ডিলিট হয়ে যাওয়াঃ
যদি কখনো কোন অ্যাপ , ম্যাসেজ , ছবি , ভিডিও ডিলেট হয়ে যায় আর তার কারণ আপনি না বুঝেন তাহলে আপনি হ্যাকার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন ধরা যেতেই পারে।


ফোন স্লো বা হ্যাং করাঃ
আপনার ফোন স্লো কাজ করছে ? এটা দুটো কারণে হতে পারে। ফোনটি বেশি পুরানো হয়ে গেলে বা র‍্যাম কম থাকলে বা খুব বেশি অ্যাপ ইন্সটল করলে আর নইলে আপনার ফোনে malware আক্রান্ত হলে। এমন অনেক malware আক্রান্ত অ্যাপ রয়েছে যা আপনার ফোনের স্বাভাবিক ব্যবহার গতিকে  বাঁধা দেয়। আসলে malware একটি ভারী আর বেশি মেমোরি নষ্টকারি প্রোগ্রাম বলা যেতে পারে। আক্রান্ত অ্যাপ গুলো আপনার ফোনের ডাটা অন্য স্থানে ট্রান্সফার করতে থাকে বিধায় ফোন স্লো হয়ে যায় তাৎক্ষণিক। স্মার্ট ফোন স্মার্ট কিন্তু মনে রাখবেন হ্যাকার তার চেয়েও স্মার্ট হতেই পারে।



অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপনঃ
আপনি নেট ব্রাউজিং করছেন হঠাৎ খেয়াল করলেন আপনার সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে একটা বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে কিংবা আপনাকে অফার করা হয়েছে আপনি লটারি জিতেছেন তাই ক্লিক করুন এখানে। এমন কোন বিজ্ঞাপন পাওয়া মানে আপনি স্পাইওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত এবং আপনার এক ক্লিক দেয়া মানেই আপনি হ্যাকারের ফাঁদে পা দিলেন। এসব হ্যাকার সাধারণত malware ছড়িয়ে আপনার সর্বনাশ করবে।

ফোন অতিরিক্ত গরম হওয়াঃ
আপনি কোন কাজ করছেন না ফোন দিয়ে। এমন কি আপনি কল অথবা টেক্সট কিছুই করছেন না। এমন কোন কাজ ছাড়াই ফোন নিজে থেকে গরম হয়ে যাচ্ছে , এর মানে হলো আপনি হ্যাকার দ্বারা ভাইরাস আক্রান্ত। আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে খুব ভারী অ্যাপ গুলো রান করে তথ্য সরাচ্ছে তাই ফোন গরম হয়ে উঠছে।


অপরিচিত মেসেজ আশাঃ
অপরিচিত নাম্বার ডায়াল লিস্টে থাকা এবং টাকা কাটা যেমন হ্যাকিং এর লক্ষণ ঠিক তেমনি অপরিচিত নাম্বার থেকে আজব আজব ম্যাসেজ ক্যাটাগরিহীন নাম্বার থেকে পাওয়াটাও একটা হ্যাকিং এর শিকার হওয়ার লক্ষণ। তারা হয়তো আপনার কাছে মূল্যবান কিছু চাইবে কিংবা আপনি যদি না দেন তাহলে আপনাকে ব্ল্যাক মেইল করতে উলটাপালটা ম্যাসেজ আপনার ফ্রেন্ড দের দিয়ে বিভ্রান্ত করবে। যদি কখনো জানতে পারেন যে আপনার নাম্বার থেকে উলটাপালটা ম্যাসেজ যাচ্ছে ফ্রেন্ডদের কাছে তাহলেও বুঝে নিবেন আপনি হ্যাক হয়েছেন।



কল লিস্টে অপরিচিত নাম্বারঃ
হ্যাকারগণ তাদের অপরাধ মূলক কাজ সাধারণত অন্য ডিভাইস থেকে করতে পছন্দ করে। তারা ব্যায়বহুল ইন্টারন্যাশনাল কল কিংবা অপরাধ  মূলক কিছু কাজের জন্য আপনার মোবাইলের ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি এই জন্য ভুল আসামি হয়েও সনাক্ত হতে পারেন।



স্প্যাম মেইল আশাঃ
যদি দেখেন আপনার মেইলে স্প্যাম মেইল বেড়ে গিয়েছে কিংবা আপনি যেগুলো সেন্ড করছেন সেগুলো প্রায় স্প্যাম এ স্থান পাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনি হ্যাকার দ্বারা আক্রান্ত। কারণ গুগল অপরিচিত কোন সার্ভার থেকে মেইল আসা কিংবা যাওয়া সাপোর্ট করে না। আর হ্যাকারগণ আনআইডেন্টিফায়েড সার্ভার ব্যবহার করে।


ফোন হ্যাক হওয়ার পর করনীয়ঃ

আপনার হাতে থাকা মোবাইলটি হ্যাক হলে প্রথমেই আপনার গুরুত্বপূর্ণ একাউন্ট গুলো সাইন-আউট করুন এবং পাসওয়ার্ড গুলো পরিবর্তন করুন, যাতে হ্যাকার ইনবক্স থেকে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য না পেতে পারে।

এরপর আপনার ব্যাংক একাউন্টগুলো চেক করুন,ঠিক আছে কিনা। যদি সন্দেহজনক মনে হয় ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়ে অনলাইন পেমেন্ট, কার্ড বা এই ধরনের সার্ভিসগুলো বন্ধ করে দিন।


সর্বশেষ, আপনার ফোন ব্যবহার করে হ্যাকার বিভিন্ন অপরাধমূল্যক কাজ করতে পারে তাই থানার একটি জিডি করে রাখা ভালো।


2 Comments

Post a Comment

Previous Post Next Post