বিষ্যতে কোনো কথা না বলে শুধু মস্তিষ্কের তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে আগ্রহী মার্কিন সেনাবাহিনী। বর্তমানে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলে ‘টেলিপ্যাথিক মস্তিষ্ক তরঙ্গ’ নিয়ে কাজ করছে তারা।




 তহবিল যোগাচ্ছে ‘ইউএস আর্মি রিসার্চ অফিস’। নতুন গবেষণায় আচরণ ও কার্যক্রম থেকে সৃষ্ট মস্তিষ্ক তরঙ্গ এবং সাধারণ মস্তিষ্ক তরঙ্গের ফারাক ধরতে পেরেছেন গবেষকরা।

এক প্রতিবেদনে ইন্ডিয়া ট্রিবিউন বলছে, মস্তিষ্কের তরঙ্গকে পৃথক করতে পারাটাই হলো কার্যক্রম ভিত্তিক মস্তিষ্ক তরঙ্গ এবং উদ্দেশ্য বুঝার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ।

গোটা গবেষণাটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার’ গবেষকরা। তাদের সঙ্গে কাজ করছেন লস অ্যাঞ্জেলস, বার্কলে, ডিউক ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

গবেষকদের মূল লক্ষ্যটি অবশ্য ভিন্ন। তারা বুঝার চেষ্টা করছেন, কোনোভাবে যন্ত্র সৈনিকের মস্তিষ্কে প্রতিক্রিয়া পাঠিয়ে তাকে সঠিক কাজটি করাতে পারে কি না। এতে করে যুদ্ধে লড়াইরত সৈনিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।


যোগাযোগে ‘মস্তিষ্ক তরঙ্গ’ ব্যবহারে আগ্রহী মার্কিন সেনা [News]


পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান এই গবেষণায় মার্কিন সেনাবাহিনী ৬২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করেছে। গবেষণা প্রসঙ্গে ‘আর্মি রিসার্চ অফিস’ এর কর্মসূচী ব্যবস্থাপক হামিড ক্রিম বলেছেন, “এখানে, আমরা শুধু তরঙ্গ পরিমাপ করছি না, আমরা সেগুলোর মর্মোদ্ধারও করার চেষ্টা করছি।”

এরই মধ্যে বানর ব্যবহার করে পরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকরা। পরীক্ষা সফল হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তারা।

“আরও অনেক কাজ বাকি। কোনো ধরনের যুদ্ধক্ষেত্র উপযোগী মস্তিষ্ক তরঙ্গ ব্যবহারকারী যন্ত্র-মানব ইন্টারফেইস আসতে এখনও কয়েক দশক সময় লাগবে।” – বলেছেন ক্রিম।

“একদম দিন শেষে, ওটাই মূল উদ্দেশ্য; কম্পিউটারকে পূর্ণ দ্বৈত যোগাযোগ মোডে মস্তিষ্কের সঙ্গে কথা বলানো।” – যোগ করেছেন তিনি।      


[USA Student Visa] যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সীমিত আকারে শিক্ষার্থীদের ভিসা আবেদন গ্রহণ করা শুরু করছে।alert-success

Post a Comment

Previous Post Next Post